হাটহাজারীতে ভাইয়ের ঘর ভাঙলো ভাই, ছোড়া হয় গুলিও

ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব ঘরের সিড়ি নিয়ে। একপর্যায়ে ভাই সিড়ি নির্মাণ করতে গেলে আরেক ভাই ভাড়া করেন সন্ত্রাসী। অস্ত্র নিয়ে হামলা, ভাঙচুর চালান ভাইয়ের ঘরেই। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার মোহাম্মদপুর এলাকায়।

এ সময় তারা ওই ঘরের সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। ভেঙে ফেলে সিড়ি ও দেয়ালও। পুরো ঘটনায় অংশ নেয় ৫০-৬০ জনের অস্ত্রধারী একটি দল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে না এলেও র‍্যাবের একটি দল এসে কয়েকজনকে আটক করে।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর ৬টায় হাটহাজারী পৌরসভার মোহাম্মদপু ঝটিকা এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানের বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, খোরশেদ আলম, শাহাদাত আলম ও মো. শফি সম্পর্কে ভাই। তাদের মধ্যে বাড়ির সিড়ি নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গত রমজান মাসে পরে খোরশেদ আলমের পরিবার দোতলায় উঠার জন্য আলাদা সিড়ি নির্মাণ করতে গেলে বাঁধা দেন মো. শফির পরিবার। এ নিয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি অভিযোগও করা হয়েছিল।

গত কয়েকদিন আগে আবার সিড়ি নির্মাণ করতে গেলে আবার বাঁধা দেন শফির লোকজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় স্থানীয় মো. তাহের নামের একজনের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল লোক হঠাৎ এসে খোরশেদ আলমের ভবনের দেয়াল ও সিড়ি ভাংচুর শুরু করে। এ সময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে ৪ থেমে ৫ রাউন্ড গুলি করে তারা। এ সময় খোরশেদ আলমের পরিবার থানায় একাধিকবার কল করে যোগাযোগ করেও কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন। পরে তারা র‍্যাবের হাটহাজারী ক্যাম্পে যোগাযোগ করলে র‍্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করে।

এ বিষয়ে জানতে র‍্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে বিস্তারিত জানাতে পারেননি।

হামলার শিকার পরিবারের মো. রাকিব উদ্দিন মুন্না বলেন, ‘সকালে হঠাৎ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে আমাদের ঘরের দেওয়াল, সিড়ি ও আশপাশের ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় আমরা বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে ৪-৫টি গুলি করে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও হাটহাজারী থানা থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। পরে আমরা বাধ্য হয়ে র‍্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা এসে আমাদের রক্ষা করে।’

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!