হাটহাজারীর আলীপুর পৌরসভার আলীপুর পাড়ায় একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করলো উপজেলা প্রশাসন।
আলীপুর পাড়ার মো ইব্রাহিমের হীরা বেগম। আলীপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ১৪ বছরের এই কিশোরীর চোখেমুখে রঙিন স্বপ্ন – পড়ালেখা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। কিন্তু তার বাবা-মা মেয়ের মতামতের তোয়াক্কা না করেই দ্বিগুণের বেশি বয়সী এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে ফেলেন।
জানতে পেরে কিশোরী হীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। তবু পরিবারের উদ্যোগে বিয়ে ঠিকঠাক হয়ে গেল। তারিখও পড়লো ৩ মে।
এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন হাটহাজারী থানা পুলিশের একটি দল ও স্থানীয় লোকজন নিয়ে ওই বাড়িতে অবস্থান নেন।
এ সময় কনের মা-বাবা বিয়ের বৈধ কাগজপত্র আছে বলে চ্যালেঞ্জ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। তারা একজন আইনজীবীর ফোন নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউএনওকে অনুরোধ করেন।
ইউএনও রুহুল আমিন এ সময় বলেন, ’আপনার মেয়ের বয়স কম। তাই এ বিয়ে হবে না।’
পরে হীরা বেগমের মা-বাবা বয়সপ্রমাণের কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
অবস্থা বেগতিক দেখে বর ও বরের সঙ্গে আসা ভোজনরত লোকজন পালিয়ে যায়।