করোনাভাইরাসের কারণে পুঁজিবাজারের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা চেয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
বুধবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
সিএসইর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব অর্থনীতি একটি গভীর মন্দার মধ্যে পড়েছে। এই অবস্থায় দেশের রফতানি ও বৈদেশিক রেমিট্যান্স হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি বড় ধাক্কার সম্মুখীন হতে চলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশের পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের দুর্দশা বৃদ্ধি পেয়ে আসছিল। চলমান করোনা ভাইরাসের সংকটে এই দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন ভয়াবহ সংকট পরিস্থিতিতে দেশের পুঁজিবাজারকে রক্ষা করতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারদের জন্য মোট ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রস্তাব দিয়েছে সিএসই।
সিএসইর প্রস্তাবনায় পাঁচটি খাতের জন্য আলাদাভাবে প্রণোদনা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মার্জিন ঋণের সুদ ভর্তুকি হিসাবে ৪০০ কোটি টাকা, সিএসইর বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বোনাস বাবদ প্রণোদনা চাওয়া হয়েছে ৮০ কোটি টাকা, সিএসইর করপোরেট কর মওকুফ বাবদ ২০ কোটি টাকা, বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন ফি মওকুফ বাবদ ৫০ কোটি টাকা এবং সিএসই ব্রোকারদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ হিসাবে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এএস/এএইচ/সিপি