হাজারী গলিতে অভিযানে বাধা, ৪০ লাখ টাকার আনরেজিস্টার্ড ওষুধ ধ্বংস

চট্টগ্রামের নগরীর হাজারী গলিতে ভেজাল ওষুধ জব্দ করতে গিয়ে দোকান মালিকদের বাধার মুখে পড়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এরপরও পুলিশের সহযোগিতার অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আন-রেজিস্টার্ড ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। পরে এসব ওষুধ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জানা গেছে, অভিযানে প্রথমে সততা ফার্মেসি, নিয়ামত শাহ ফার্মেসি ও ক্যাল ফার্মা ফার্মেসিতে ফিজিশিয়ানস স্যাম্পল রাখায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরে হাজারী লেনের ছবিলা কমপ্লেক্সে ঢুকতে গেলে ফার্মেসিগুলো বন্ধ করে মালিকরা মার্কেটের বাইরে অবস্থান নেন। মার্কেট কমিটি, ফার্মেসি মালিক সমিতি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও দোকান খুলতে অস্বীকৃতি জানান তারা। তখন কোতোয়ালী থানার পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে হাজারি গলির ছবিলা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার একটি এবং চতুর্থ তলার একটি গোডাউনের তালা ভেঙে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আন-রেজিস্টার্ড ওষুধ জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ওষুধগুলো আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। এছাড়া ফিজিশিয়ানস স্যাম্পেলগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ‘চট্টগ্রামের নগরীর হাজারী গলি থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আনরেজিস্টার্ড ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সহ সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য বলেন, ‘দু-একজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আমাদের হাজারী গলির সবার বদনাম হয়। প্রশাসনের এরূপ অভিযানে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।’

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!