হলফনামায় অবাক ‘দারিদ্র্য’ ধনী কাউন্সিলর এরশাদের

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর এসএম এরশাদ উল্লাহর আয় ও সম্পদের পরিমাণ ‘কমেছে’ আশঙ্কাজনক হারে। তবে তার ব্যবসা ও এ সংক্রান্ত পদ-পদবি আগের মতই আছে। এর মধ্যে আবার দায়মুক্তও হয়েছেন এরশাদ। কাউন্সিলর এরশাদ এমএইচ ইলাস্টিক এন্ড এক্সেসরিজের ১৮০০ এবং আলম থ্রেড এন্ড এক্সেসরিজের ১০ হাজার ৫০ শেয়ারের মালিক। একইসঙ্গে ৫ গন্ডা এক কন্ট জমির ৫ ভাগের এক ভাগ ও দেড় লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিরও মালিক। বিস্ময়জাগানো ‘দারিদ্রের কষাঘাতে’ জর্জরিত এই ধনী ব্যবসায়ীর হাতে নগদ তো নয়ই, এমনকি ব্যাংকেও নেই কোন টাকা!

হলফনামায় নিজের পেশা হিসেবে ‘গার্মেন্টস এক্সেসরিস ব্যবসা’ উল্লেখ করেছেন কাউন্সিলর এরশাদ। গতবারও নিজের হলফনামায় দিয়েছিলেন একই তথ্য। তবে গতবার এই খাত থেকে বার্ষিক ৮ লাখ ২২ হাজার ৬৯৪ টাকা আয় ছিল তার। এবারে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ লাখ। অন্যদিকে এবারে বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ভাড়া থেকে বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা আয়ের তথ্য দিলেও এই সম্পদের বিষয়ে স্পষ্ট তেমন কিছুই উল্লেখ নেই তার হলফনামায়।

গতবারের মত এবারও তার কাছে এক লাখ টাকার স্বর্ণ ও ২৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ২৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।

গত নির্বাচনের হলফনামায় এরশাদ উল্লাহর স্ত্রীর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ২ লাখ ৪ হাজার টাকা, তখন তার কাছে নগদ টাকা ছিল ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংকে ছিল ৫ লাখ ৫০ হাজার, স্বর্ণ ছিল ৫ লাখ টাকার, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৭০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র ছিল ৫০ হাজার টাকার ও ডিপিএস ছিল ৯৯ হাজার টাকার। তবে এবারে এসবের কিছুই নেই তার স্ত্রীর। কেন নেই— সেই প্রশ্নের উত্তর অজানা।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!