হতদরিদ্রদের পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো

কোন সংগঠন বিতরণ করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক। কেউ বিতরণ করছে খাদ্যসামগ্রী। আবার জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করার পাশাপাশি কেউ কেউ করছে মাইকিংও। আবার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও পরিচালনা করছে কোন কোন সংগঠন।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এভাবেই চট্টগ্রামজুড়ে সক্রিয় হয়েছে নানা সেচ্ছাসেবী সংগঠন। সম্প্রতি রেডক্রিসেন্ট চট্টগ্রাম জেলা ও সিটি ইউনিটের পক্ষ থেকে জীবানুনাশক ছিটানো হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া সংস্থাটি স্যানিটাইজার, মাস্ক ও জনসচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করে। রেড ক্রিসেন্ট জেলা ও সিটি ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় যুব রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে ২৮ মার্চ নগরীর চকবাজার এলাকায় এসব বিতরণ করা হয়৷ এছাড়া জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের কর্মচারীদের মাঝে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করে সংস্থাটি। হাজারী লাইনে সংস্থাটির পক্ষে থেকে ছিটানো হয় জীবাণুনাশক স্প্রে। চট্টগ্রাম মেডিকেলের পশ্চিম গেইট থেকে প্রর্বতক মোড় এর অবস্থিত দোকান ও ফার্মেসীর সামনে দূরত্ব রক্ষার্থে বৃত্ত অংকন করে দেয় যুব রেডক্রিসেন্টের সদস্যতা।

হতদরিদ্রদের পাশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো 1

এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন জেলা ইউনিট লেভেল অফিসার আব্দুর রশিদ খান, সিটি ইউনিট লেভেল অফিসার মুহাম্মদ ইয়াহইয়া বখতিয়ার, যুব রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের যুব প্রধান মোঃ ইসমাইল হক চৌধুরী ফয়সালসহ প্রমূখ।

এদিকে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে পটিয়া উপজেলার কৈয়গ্রামের দি ইল্ড এনলাইটেন্ড সোসাইটি (ইয়েস) নামে একটি ক্লাবটি। ২০১০ সালে স্টুডেন্টদের টিউশনের টাকায় এ ক্লাবটি গঠিত হয়। শনিবার (২৮ মার্চ) ইয়েস ক্লাবের উদ্যোগে ৫০টি গরিব পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে ইয়েস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মনির আহমেদ বলেন, ‘ইয়েস একটি সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করি। ২০১০ সালে কয়েকজন শিক্ষার্থী দিয়ে শুরু এ ক্লাবটিতে বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১০০। সদস্যরা টিউশনের টাকা ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালনা করে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাড়িয়েছি।

আরএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!