টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৃষ্টিপাতের মধ্যে আধাঘণ্টা বৃষ্টির মাত্রা ছিলো অনেক বেশি। তীব্র গরমের পর নগরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় স্বস্তির সেই বৃষ্টি আবার রূপ নিলো দুর্ভোগে।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস তাৎক্ষণিকভাবে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড না জানাতে পারলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে বর্ষার ঝুম বৃষ্টিকেও হার মানিয়েছে শরতের এই বৃষ্টি।
হঠাৎ নামা বৃষ্টিতে অফিসগামী যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়ে। বৃষ্টির নামার কয়েক মিনিটের মধ্যে রাস্তায় পানি উঠে দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। বৃষ্টির কারণে নগরীর অক্সিজেন, মুরাদপুর, প্রবর্তক, ২নম্বর গেট, কাপসগোলা, বহাদ্দারহাটের আশেপাশে পানি জমে যায়। এছাড়া প্রবর্তক মোড়ে হাঁটু সমান পানি জমতে দেখা গেছে। ঘরমুখো যাত্রীদের হাঁটু পানি মাড়িয়ে যাতায়ত করতে দেখা যায়। বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্নস্থানে গণপরিবহন সংকটও দেখা যায়।
মুরাদপরে বৃষ্টিতে আটকে পড়া ব্যাংক কর্মকর্তা রফিক আহমেদ বলেন, ‘অফিস থেকে বের হয়ে গাড়ির জন্য দাঁড়ালাম। ঝুম বৃষ্টিতে এভাবে পানি উঠে গেল? গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। দেখি কিভাবে বাড়ি যেতে পারি।’
চকবাজার থেকে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরা শ্রাবণী বলেন, ‘কোচিং করে বেরিয়েছি এখন বৃষ্টির পানিতে আটকা পড়েছি। ঘর থেকে বার বার ফোন করছে। কিভাবে বাড়ি ফিরতে পারবো জানি না।’
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ জানান, সাধারণত তিন ঘন্টা পর পর আবহওয়া এবং বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সে অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টার দিকে কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে সেটি জানতে রাত ৯টা পর্যন্ত সময় লাগবে। তবে রাতে আর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
এসসি/এএইচ