হঠাৎ উধাও রেলপুলিশের টিএসআই দিনশেষে ইয়াবার আসামি

১০ হাজার ইয়াবার চালানটি ছিল জিআরপির বাবুল খন্দকারের

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সিজিএস কলোনি থেকে দশ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে জিআরপি থানার আরেক টিএসআইর সম্পৃক্ততা পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিইউ)। মূলত সিএমপির বন্দর জোনের ট্রাফিক বিভাগের টিএসআই সিদ্দিকুর রহমানের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া দশ হাজার পিস ইয়াবার চালানটি ছিল জিআরপির টিএসআই বাবুল খন্দকারেরই।

তবে অভিযানের সময় ধরা না পড়লেও ঘটনার পর থেকে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক সঞ্জয় গুহ ডবলমুরিং থানায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে জিআরপিতে কর্তব্যরত অবস্থায় নিখোঁজ হওয়ায় সাধারণ ডায়েরি করেছে জিআরপি পুলিশ।

এরআগে গত শুক্রবার রাতে (১৪ জুন) আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনি এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৮০ হাজার টাকা ও একটি মোটর সাইকেলসহ সিএমপির বন্দর জোনে কর্মরত সিদ্দিকুর রহমান নামের এক টিএসআইকে গ্রেপ্তার করে সিটিইউ।

সিএমপির কাউন্টার টেরোজিম ইউনিটের প্রধান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, এ ঘটনার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিদ্দিকুর জানিয়েছেন, মূলত চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের টিএসআই বাবুল খন্দকারের কাছ থেকে ইয়াবার চালানটি নিয়ে পাচারের জন্য সিজিএস কলোনিতে মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সেই চালানটি নিয়ে তিনি বাসায় গেলে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার কথা ছিল বাবলুর।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘টিএসআই বাবলু জিআরপি থানার অধীনে থাকলেও তার নিয়মিত দায়িত্ব ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম চলন্ত ট্রেনে। শুক্রবার রাত নয়টার পর থেকে তিনি অনুপস্থিত। অথচ রাত ১১টায় তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে তার দায়িত্ব ছিল। তাকে পাওয়া না যাওয়ায় আমরা আরেকজন হাবিলদারকে তূর্ণার অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় জিআরপির ডিউটি অফিসার এসআই কেএম ফেরদৌস থানায় জিডি করেন। তবে আজ ডবলমুরিং থানা থেকে জানতে পারলাম, শুক্রবার সিজিএস কলোনীর সামনে ইয়াবাসহ পুলিশ গ্রেপ্তার মামলায় টিএসআই বাবলু খন্দকার আসামি। বাবলুর অনুপস্থিতির বিষয়টি গতকাল রাতেই আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!