হঠাৎ আটকে চমেকের লিফট, ভিতরে বিএনপির আমীর খসরু

চট্টগ্রামের পাথরঘাটার গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে গিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতাকর্মী।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

এ প্রসঙ্গে আমির খসরু চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. সেলিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আগেই সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতে শুরু করি। স্যার আহতদের দেখে পাঁচ তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে নিচতলায় নামার জন্য লিফটে উঠেলে একতলার কাছাকাছি এলে লিফট শব্দ করে নিচে পড়ে যায়। সম্ভবত চেইন ছিঁড়ে পড়ে। এরপর নিচে নেমে দেখি দরজায় আঘাতের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তখন আমরা একজন লিফটম্যানকে খুঁজে আনি। তিনি লাঠি দিয়ে দরজা ফাঁক করেন। এরপর নেতারা সবাই একজন একজন করে উঠে আসেন।’

আহতদের দেখতে আসা বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. শাহাদাত হোসেন, এমএ আজিজ, সাইফুল ইসলাম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটনসহ কমপক্ষে ১২ জন নেতাকর্মী। একই সময় তাদের সঙ্গে যাওয়া আরও নেতাকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন।

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হয়তো কারেন্ট চলে যাওয়ায় এমন হয়েছে। হাসপাতালের লিফটে কোনো সমস্যা নেই। ‘

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আব্দুল হামিদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘হঠাৎ কারেন্ট চলে যাওয়ায় লিফট সামান্য দেবে গিয়েছিল। এতে কয়েকজন আটকা পড়েছিল ভেতরে। পরে সবাইকে বের করা হয়েছে। কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।’

প্রসঙ্গত, রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোডে বড়ুয়া ভবন নামে একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলে সাতজন নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় ৯ জন। এর মাঝে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আশপাশের আরও কয়েকটি বাসা এবং দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!