হঠাৎ আওয়ামী লীগের ‘সাইনবোর্ড’ ঝুলছে নোয়াখালী সমিতির অফিসে

বৃহত্তর নোয়াখালী জনকল্যাণ সমিতি। প্রায় ৪০ বছর আগে সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের ভূমিতে এ সমিতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। চট্টগ্রামের ইপিজেড ও পতেঙ্গায় বসবাসরত নোয়াখালী অঞ্চলের বাসিন্দারাই মূলত এ সমিতির সদস্য। সম্প্রতি সমিতির দফতরে সামনে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানার।

যারা এই ব্যানার টাঙিয়েছেন তারাই আবার সমিতি কার্যালয়ের দরজায় ঝুলি দিয়েছে তালা। দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি আগের এই সংগঠনের কার্যালয় বেদখল হওয়ার আশংকার বিষয়ে ইপিজেড থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।

অভিযোগ রয়েছে, উত্তর পতেঙ্গার মো. মাসুদ নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি নোয়াখালী জনকল্যাণ সমিতির কার্যালয় দখল করার চেষ্টা করছে। মাসুদ ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওয়ামী লীগের কর্মী বলে পরিচিত। তার বাড়িও নোয়াখালী জেলায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইপিজেড থানার মূল সড়ক ঘেঁষে রয়েছে নোয়াখালী জনকল্যাণ সমিতির কার্যালয়। এর পাশে রয়েছে বিএনপি অফিসসহ সড়কের ফুটপাতের সারি ধরে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকানপাট। সেখানে প্রায় দুই একরের বেশি এ জায়গাটি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান স্টীল মিলের।

এদিকে সমিতির কার্যালয় দখলের ঘটনায় গত ২৫ নভেম্বর অভিযোগ দেওয়া হয় ইপিজেড থানায়।

এ বিষয়ে নোয়াখালী জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘বৃহত্তর নোয়াখালী লোকজনের সমিতির কার্যালয়ে মাসুদের নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি আওয়ামী লীগের ব্যানার লাগিয়ে দখলে নেয়। মাসুদের বাড়িও নোয়াখালী। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মো. মাসুদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ৪০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক বলেন, ‘ব্যানার টাঙ্গিয়ে সমিতির অফিস দখলের বিষয় শুনার সঙ্গে সঙ্গে আমি মাসুদকে বলেছি। আশা করছি সেখানে আর কোনো সমস্যা নেই। মাসুদের বাড়িও নোয়াখালী।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার এসআই সাজেদ কামাল বলেন, ‘মাসুদ নিজেই নোয়াখালী জনকল্যাণ সমিতির সদস্য। সমিতির দুইপক্ষের লোকজনের এটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। সেখানে একটি দোকান নিয়ে মূলত এ বিষয়টি সামনে আসে। থানায় দেওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। একটি ব্যানার দিলেতো দখল বলা যাবে না। ওদেরকে বলেছি সমিতির দফতরের উপর থেকে ব্যানারটি সরিয়ে দিতে। কেউ বাধা দিলে তখন পুলিশ গিয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ওই সমিতির কোনো কার্যক্রম নেই। তারপরও যেহেতু বিষয়টি নজরে আসছে তাৎক্ষনিক সমাধানের চেষ্টা করেছি আমরা।’

মুআ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!