হঠাৎ অসুস্থ ডা. তাহমিনা বানু, রাতে ঢাকায় গিয়ে ভর্তি হলেন স্কয়ারে

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমিনা বানুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। রোববার (২১ জুন) রাতে তাকে রাজধানী ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চট্টগ্রামের এই বিখ্যাত শিশু চিকিৎসক সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাক চেয়ারপার্সন ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের বোন। গত ১৭ জুন তাদের মা জোহরা বেগম চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশের নিজ বাসভবনে মৃত্যুরণ করেন তিনি। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরকলে তাদের গ্রামের বাড়ি।

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মা হারানোর বেদনায় তিনি ভেঙে পড়ছেন। আর কোন সমস্যা তার নেই। দুপুরে হঠাৎ অক্সিজেন সিচুরেশন কমে যাওয়ায় বিকেল চারটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। রাতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার অবস্থা বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক এবং তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন ডা. তাহমিনার পারিবারিক সূত্র।

তবে ওই সূত্র জানিয়েছেন, ডা. তাহমিনা বানুর করোনার লক্ষণ ছিল না। তার নমুনাও পরীক্ষা করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে ডা. তাহমিনা বানুর হাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে যাত্রা করে শিশু সার্জারি বিভাগ। দেশে অসংখ্য শিশুর জটিল অপারেশন সম্পন্ন করে তিনি ‘শিশুবন্ধু’ খ্যাতি অর্জন করেছেন।

ডা. তাহমিনা শুধু একজন চিকিৎসকই নয়, তার গবেষণার রয়েছে আন্তার্জাতিক স্বীকৃতিও। দেশি ৬৯টি এবং আন্তর্জাতিক ৪১টি চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ। বিশ্বে জন্মগত ত্রুটির ওপর সর্ব প্রথম গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয় ২০১৩ সালে, সেই প্রবন্ধটি ডা. তাহমিনা বানুর।

তিনি ২০১৭ সালে শিশুদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা সহায়তার জন্য ‘লো কস্ট কোলাবোরেট’ ফান্ড প্রতিষ্ঠা করে। এ পর্যন্ত ওই ফান্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে আড়াই শতাধিক রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ডা. তাহমিনা বানু বাংলাদেশের একমাত্র চিকিৎসক যিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত আছেন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!