হকার থেকে ওসি সেজে চাঁদাবাজি, হাতেনাতে গ্রেপ্তার চাঁদাবাজ

থানার ওসির নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে এক চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর পুলিশ তাকে আদালতে চালান দেয়। কিন্তু আদালতে মামলার স্বাক্ষী ঘটনা অস্বীকার করলে তৈরি হয় জটিলতা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তলব করে আদালত। পুরো ঘটনা নিয়ে শুরু হয় রহস্য।

৩০ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের কাছে অভিযোগ আসে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় শতাধিক দোকান থেকে ওসির নামে চাঁদা আদায় করছে দুলাল নামে একজন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা মেলে দুলালের। দেখা যায়, তিনি প্রতিটি ভ্যানের কাছে যাচ্ছেন আর হকাররা ১০০ টাকা করে তার হাতে তুলে দিচ্ছেন।

দুলালের চাঁদাবাজির ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ফোন দেয়া হয় পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবিরকে। তিনি সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়ে গ্রেপ্তার করেন দুলালকে, এ সময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ ৩ হাজার ৩০০ টাকা।

পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পরদিন মামলা (মামলা নং ৩০, ধারা ৩৮৪/ ৩৮৫) দিয়ে আদালতে হাজির করে তাকে। মামলার সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয় মেডিকেল কলেজ এলাকার এক হকারকে। কিন্তু আদালতে সাক্ষী সেলিম জানান, ঘটনার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। পুলিশ তাকে থানায় ডেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আদালতে হাজির করেছে। সাক্ষীর এমন বক্তব্যে আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে।

রোববার (৩ অক্টোবর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা রহমানের আদালতে উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত হয়ে মামলার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। আদালতকে আবুল কালাম আজাদ জানান, দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের পাঠানো ছবি ও ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে আসামিকে আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আদালত আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

জেএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!