সড়কে টয়লেটের বর্জ্য, হেলদি ওয়ার্ড জামালখানে আন-হেলদি পরিবেশ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে হেলদি ওয়ার্ডের তকমা রয়েছে নগরের ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের। কিন্তু এই ‘হেলদি ওয়ার্ড’ খ্যাত জামালখানে পাবলিক টয়লেট বসিয়ে উল্টো পরিবেশ নষ্ট করছেন খোদ কাউন্সিলরই। নগরীর জামালখান এলাকার মত কর্মব্যস্ত মোড়ে পাবলিক টয়লেটের এমন অব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ দূষণের চিত্র দেখে হতবাক স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) সরেজমিনে জামালখান মোড়ে অবস্থিত এজি চার্চ স্কুল থেকে পিডিবি অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে ফুটপাত পরিদর্শনে দেখা যায়, পাবলিক টয়লেটের দেয়াল ঘেঁষে ফুটপাতে গড়িয়ে পড়ছে পাবলিক টয়লেটের মলমূত্রের দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানি। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এমন অব্যবস্থাপনার কারণে স্বাভাবিক চলাফেরায় নাভিশ্বাস ওঠছে সাধারণ পথচারীদের।

গৃহিণী আয়েশা সিদ্দিকা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিদিনই বাচ্চাকে স্কুল-কোচিংয়ে পৌঁছে দিতে দুই বেলা জামালখান আসা-যাওয়া করি। অনেকদিন ধরেই দেখছি এই ফুটপাতের ওপর সবসময় টয়লেটের ময়লা পানি থাকে। কেউ দেখেও যেন দেখছে না।’

ব্যস্ত এলাকা জামালখানে রয়েছে ডজনেরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে এ এলাকায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি।

সড়কে টয়লেটের বর্জ্য, হেলদি ওয়ার্ড জামালখানে আন-হেলদি পরিবেশ 1

শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জামালখানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর আনাগোনা থাকে। এদের বেশিরভাগই শিশু। গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘেঁষে পাবলিক টয়লেটের এমন অব্যবস্থাপনার কারণে বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে পাবলিক টয়লেট থেকে ফুটপাতে গড়িয়ে পড়া মলমূত্রের পানি।

জামাল খান ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের উদ্যোগে জামালখান মোড়কে অবৈধ দখলকারীর হাত থেকে ফুটপাত রক্ষা, সৌন্দর্যবৃদ্ধিসহ ব্যস্ততম এ এলাকায় পথচারীদের সুবিধা বিবেচনায় এজি চার্চ থেকে পিডিবি অফিসার্স কোয়ার্টার পর্যন্ত ৩০০ ফুট জায়গাজুড়ে গার্ডেনিং, যাত্রী ছাউনি, ডেকোরেটিভ আলোকায়ন, পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ‘উন্নয়নযজ্ঞের’ কিছুটা জায়গা না পেরোতেই অব্যবস্থাপনার যন্ত্রণায় ভুগতে হয় স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের।

জামালখান এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের এই ভোগান্তির বিষয়টি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের নজরে আনা হলে চসিক উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জামালখানের পাবলিক টয়লেটটি এস্টেট ডিপার্টমেন্টের অধীনে।’

পাবলিক টয়লেটের লিকেজ থেকে সড়ক এবং ফুটপাত অপরিচ্ছন্ন ও স্যাঁতস্যাঁতে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখবো।’

এ ব্যাপারে জানতে ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!