সড়কে ইট-সিমেন্টের দেয়াল, এখনো ‘দখল’ ছাড়েনি হাটহাজারী মাদ্রাসাছাত্ররা

চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে ইট-সিমেন্টের দেয়াল তুলে অবরোধ করে সেখানে বিপুলসংখ্যক মাদরাসাছাত্র অবস্থান করছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে র‌্যাব ও পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি শনিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে এমপি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাটহাজারী থানায় অবস্থান করছেন।

আগেরদিনের সংঘর্ষের পর এখনো পর্যন্ত হাটহাজারী বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। থানা ভবনের দক্ষিণে বাসস্ট্যান্ডের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সেখানে অবস্থান করছে বিপুলসংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ।

হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে হাটহাজারী থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশের সঙ্গে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তিন জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রায় চার প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব নাসিরউদ্দিন মুনীর জানান, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন এবং জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা দফায় দফায় আলোচনা করেছি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি।’

অন্যদিকে, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি জানিয়েছেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) রাতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মাদরাসাছাত্রদের পক্ষ থেকে ৫টি দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো হলো- নিহত চারজনের ময়নাতদন্ত সঠিকভাবে করতে হবে, তাদের জানাজা-দাফনে বাঁধা না দেয়া, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং গুলির ঘটনায় দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ।

এমপি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের দাবি মেনে নিয়েছি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিচ্ছে না।’

প্রসঙ্গত, সংঘর্ষের পর থেকেই চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গোটা এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!