সড়কের জমিতে ইউপি চেয়ারম্যানের ‘জমিদারি’

সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি দখল করা হয়েছিল খেলোয়াড় সমিতির নামে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের যোগসাজশেই এই জমি দখল করা হয়েছিল। ২৫ শতক এই জমির মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার এই জমি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।

হাটহাজারীর ৮ নম্বর মেখল ইউনিয়নের ইছাপুর ফয়জিয়া বাজার এলাকায় খেলোয়াড় সমিতির নামে এই জমি দখল করা হয়েছিল।

রোববার (১০ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে এ জমি উদ্ধার করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের ইছাপুর ফয়জিয়া বাজার এলাকায় বেহাল্লাপু মৌজার বিএস ২৬৬ দাগে খেলোয়াড় সমিতির কার্যালয় ও দোকান নির্মাণ করে সরকারি জায়গা অবৈধ দখল করা হয়। ৮ নম্বর মেখল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.সালাউদ্দিন চৌধুরী ও সাইফুর রহমান শফিসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই জমি দখলের অভিযোগ উঠে।

খেলোয়াড় সমিতির কার্যালয়ের পাশে ১৭টি টিনশেড দোকান নির্মাণ করে অগ্রিম ও মাসিক ভাড়া হিসেবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠে তাদের বিরুদ্ধে। গত ৩১ ডিসেম্বর ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ার আকতার কামাল চৌধুরী ও নিরুপম চাকমার সরেজমিন মাপলে সরকারি জায়গা অবৈধ দখলের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘সরকারি জায়গা দখল করে রাখা অপরাধ। বিষয়টি আমার নজরে আসার পর আমি জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করা হয়। ২৫ শতক এই জমির মূল্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেখল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এটি এলাকার একটি সংগঠন। এতে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। খেলোয়াড় সমিতির কার্যালয়ের পাশের দোকানগুলো ৬ বছর আগে নির্মিত হয়।’

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!