স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উত্তর রাঙ্গুনিয়ার দেড় লাখ মানুষ

স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উত্তর রাঙ্গুনিয়ার সাতটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ। এসব ইউনিয়নের মধ্যে সরকারি হাসপাতাল না থাকায় রোগী নিয়ে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
এ উপজেলা কোন সরকারি হাসপাতাল না থাকায় রোগীদের ২৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রানীরহাট-রাঙামাটিতে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গর্ভবতীরা।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইউনিয়ন শাখা অফিসগুলোতে নিয়মিত ডাক্তার বসেন না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো প্রায় সময় বন্ধ থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। উত্তর রাঙ্গুনিয়ায় হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ জুন রানীরহাটে এক সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উত্তর রাঙ্গুনিয়ায় দ্রুত একটি হাসপাতাল বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। কিন্তু মন্ত্রীর আশ্বাসের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়ায় কোন সরকারি হাসপাতাল হয়নি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও রাজানগর ইউপি চেয়াররম্যন শামসুল আলম বলেন, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, লালানগর, পারুয়া, দক্ষিণ রাজানগর, রাজানগর, হোছনাবাদ, ইসলামপুর ইউনিয়নে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্রামীণ উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হলেও স্বাস্থ্যসেবাই তেমন অগ্রগতি হয়নি। গণমানুষের দাবি, উত্তর রাঙ্গুনিয়ায় একটি হাসপাতাল দ্রুত নির্মিত করা হোক।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রফিক বিন চৌধুরী বলেন, গণমানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে ২০০৬ সালে রানীরহাট জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। ১০ মাস সফলতার সাথে তিন জন ডাক্তার দিয়ে হাসপাতালের কার্যক্রম চালানো হলে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে বিভিন্ন কারণে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অদ্যাবধি আর হাসপাতালটি চালু করা হয়নি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আলম বলেন, স্বাস্থ্যসেবা না থাকায় এলাকার সাধারণ মানুষ খুবই কষ্ট পাচ্ছে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বৃহৎ একটি গোষ্ঠী উত্তর রাঙ্গুনিয়ায় বসবাস করে। জনস্বার্থে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার মাঝ খানের এলাকায় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদকে অবগত করা হয়েছে।

লালানগর ইউপি চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন বলেন, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার সাতটি ইউনিয়নে প্রায় এক লাখ ৪২ হাজার মানুষ বসবাস করে। কিন্তু একটি হাসপাতাল নেই। এক্ষেত্রে স্থানীয় সাংসদ ড. হাছান মাহমুদ এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা একান্তভাবে কামনা করছি।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!