স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিকের সবচে বড় জামাতে নামাজ চান্দগাঁওয়ে

করোনাকালের দ্বিতীয় ঈদের জামাত সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের বাধ্যবাধকতা মেনে আবাসিকের সবচে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক শাহী জামে মসজিদে।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা মেনে মাস্ক, হ্যান স্যানিটাইজার, জায়নামাজ, বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসার জন্য মাইকিং করে মুসল্লিদের জানিয়ে দেওয়া হয়। ঈদের জামাতে আগত মুসল্লীদের নামাজের আগে মসজিদ কমিটির লোকজন গেটে দাঁড়িয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবগুলো বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, সরকারিভাবে ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবাসিক শাহী জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের মুসল্লিরা যাতে সুরক্ষা মেনে নামাজ আদায়ের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে চান্দগাঁও আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত রমজানের ঈদের পর এবারের কুরবানের ঈদের নামাজেও মসজিদে ব্যাপক মুসল্লির আগমন হয়। তবুও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগে থেকে নেয়া ছিল এবং এ ব্যাপারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিকের সবচে বড় জামাতে নামাজ চান্দগাঁওয়ে 1
তিনি বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা যাতে প্রত্যেক মুসল্লি অনুসরণ করতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। এতো বেশিসংখ্যক মুসল্লি আসার পরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জামাতের কাতার করা হয়। এতে স্বাস্থবিধি মেনে অত্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।’

মসজিদের ভিতরে সবখানে, সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দান, পার্শ্ববর্তি সড়কপথ পর্যন্ত ভর্তি হয়ে যায়। নামাজ আদায়ের জন্য সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকেন। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ পাঞ্জাবি-পায়জামা-টুপি ও মাস্ক পরে জায়নামাজ নিয়ে দলে দলে আসেন।

সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত হয়েছে এখানে। ইমামতি করেন মসজিদের খতিম প্রফেসর ড. নেজামু্দ্দিন।

নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাতে শামিল হন মুসল্লিরা। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্তি চাওয়া হয়। এসময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা সংলগ্ন কবরস্থানে গিয়ে ফাতেহা পাঠ করেন এবং একে অপরের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!