কাজের জন্য স্বামী যখন চট্টগ্রামে, তখন যুবলীগ নেতার নজর পড়ে গৃহবধূর ওপর। ওই গৃহবধূর শাশুড়ির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেন একাধিকবার। গৃহবধূ পরে শাশুড়ি ও স্বামীর কাছে ঘটনার বিচার চাইলেও প্রতিকার পাননি। শেষে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় শাশুড়ির সহায়তায় ধর্ষণের অভিযোগে রোববার (১৫ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগী ওই নারী তার শাশুড়ি ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দায়ী করে একটা মামলা দায়ের করেছেন। পরে এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ভুক্তভোগীর শাশুড়ি এখনও পলাতক রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি রহনপুর পৌর এলাকার শেখপাড়া গ্রামের ইনুর ছেলে রবিউল ইসলাম রবু (৪২)। তিনি রহনপুর পৌর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর স্বামী বিয়ের কিছুদিন পর কাজের জন্য চট্টগ্রামে চলে যান। তিনি শাশুড়ির সঙ্গেই থাকতেন। গৃহবধূর শাশুড়ির (৪০) সঙ্গে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। বাড়িতে আসা যাওয়ার কারণে রবিউল ওই গৃহবধূর সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে রবিউলের নজর পড়ে ওই গৃহবধূর ওপর। পরে শাশুড়ির সহায়তায় গত রোজার সময় খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে গৃহবধূকে অচেতন করে রবু।
এরপর তাকে টানা কয়েকদিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী জেনে গেলে তার শাশুড়ির কাছে এর বিচার চান। একপর্যায়ে রবু তার শাশুড়ির সহযোগিতায় গৃহবধূকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন। ধর্ষণের বিষয়টি স্বামীকে জানালেও এর প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী। পরে গত ১৬ মে তার স্বামীর উদ্দেশ্যে একটি চিরকুট লিখে গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে আসেন। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে এতদিন বিষয়টি তিনি কাউকে জানাননি।
দীর্ঘদিন বাবার বাড়িতে থাকার ফলে মায়ের মনে সন্দেহ হয়। তখন গৃহবধূ বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানাতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় রোববার (১৫ আগস্ট) ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবু ও তার শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।