স্বামীর বিরুদ্ধে রায় না পেয়ে আদালতেই স্ত্রীর বিষপান

ধর্ম গোপন করে প্রেম তারপর মাত্র ৫০ হাজার টাকার দেনমোহরে বিয়ে। এরপর পুত্র সন্তানের পিতা হবার পরই শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। সেই নির্যাতনের পর আইনি ঝামেলা এড়াতে বন্ধুকে মানবধিকার কর্মী পরিচয়ে কৌশলে সেলিনাকে নিজ জিম্মায় নিয়েও নির্যাতন চালিয়ে যান স্বামী আল আমিন ওরফে নীলকণ্ঠ দাস।

এমন অভিযোগে সাতকানিয়ার আল আমিন ওরফে নীলকণ্ঠ দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এ ব্লকের বাসিন্দা সেলিনা আক্তার (২৮)।

২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল দায়ের করা এ মামলার শুনানি শেষে রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ৫-এর বিচারক হাবিবুর রহমান সিদ্দিক। রায়ে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে খালাস পান স্বামী আল আমিন ওরফে নীলকন্ঠ দাস। এই রায় শুনেই মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এজলাস কক্ষ থেকে বের হয়েই বারান্দাতে বিষপান করেন মামলার বাদি সেলিনা আক্তার। এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই আদালতের বিচারকের নির্দেশে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

সেলিনাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কোতোয়ালী থানার এস আই ইমরান আহমেদ বলেন, ‘এ খবর পেয়ে আদালতের বারান্দা থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার হাত থেকে একটি বিষের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তার আত্মীয়-স্বজন কেউ না থাকাতে বিস্তারিত জানা যায়নি।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘কোর্টে বিষপানের ঘটনায় এক নারীকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ নিয়ে আসে সন্ধ্যা ৬টার দিকে। তাকে ১৬ নম্বর মেডিসিন বিভাগে ওয়াশ করাসহ চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে তিনি এখনও শংকামুক্ত কিনা তা বলা যাচ্ছে না।’

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!