স্বামীর খোঁজ না পেয়ে দিশেহারা স্ত্রী

অপহরণের ৩৫ দিন

বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামের আতাউর রহমান রাশেদকে (২৮) স্থানীয় সন্ত্রাসীরা গত ৮ মার্চ অপহরণ করেছে। অপহরণের পর থেকে অপহরণকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। অপর দিকে স্বামীর খোঁজ না পেয়ে আতাউর রহমান রাশেদের স্ত্রী হিরু আক্তার কুসুম দিশেহারা হয়ে পড়েছে। থানায় অপহরণ মামলা হওয়ার পর থেকে মামলা উঠিয়ে নিতে বাদি গৃহবধূ হিরু আক্তার কুসুমকে বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত সশস্ত্র আসামিরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে।

মামলার বাদি হিরু আক্তার কুসুম বলেন, আমার স্বামী চট্টগ্রামের একটি জুতা কারখানায় চাকরি করেন। কোনরকমের চাকরি করে সংসার চালান। এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধে প্রতিবাদি ছিলেন। স্থানীয় কতিপয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী এলাকায় নানা অপরাধ ঘটিয়ে সামাজিক পরিবেশ বিষিয়ে তুলেছিল। তাই তারা আমার স্বামীকে বিভিন্নভাবে হত্যা করার পরিকল্পনা এঁটেছিল । এমনকি কিছুদিন পূর্বে সন্ত্রাসীরা হামলাও করেছিল। দুর্র্ধষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন প্রকাশ কালা ঝন্টু ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং বন মামলার ৬ মাসের কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি। এর সঙ্গীরাও বিভিন্ন মামলার দাগী আসামি। এরা হচ্ছে মাহামুদুল হক প্রকাশ বাচুরা, আবদুল মালেক, মো. ফরিদ, ফরিদ আহমদ মুকুস ও আব্দুর রশিদ ।

গত ৮ মার্চ শুক্রবার রাতে আমার স্বামী ইলশা গ্রামে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় হাঁটাচলা করার সময় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে মুখ চেপে ধরে সিএনজি অটোরিক্সা করে পূর্ব দিকে নিয়ে যায়। এসময় গ্রামের প্রতিবেশিরা দেখতে পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আটকাতে পারেনি। দীর্ঘদিন খোঁজাখুঁজির পর গত ৪ এপ্রিল বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলামের আদালতে মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলা থানায় নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নানাভাবে মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকি দিচ্ছে নচেৎ আমাকেও অপহরণ করে হত্যা করা হবে।

দীর্ঘ ৩৫ দিন থেকে আমার স্বামীর খোঁজ না পেয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি আমার স্বামীকে অপহরণকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিন।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মামলাটি নথিভুক্ত হওয়ার পর থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা জোরালোভাবে তদন্তে নেমেছেন। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরা বিষয়টি সঠিক নয়। আতাউর রহমান রাশেদকে শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!