স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ অস্ত্রাগার উন্মুক্ত করে দেয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য: আইজিপি

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে সারাদেশে পুলিশ বাহিনীর সকল অস্ত্রাগার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সেই অস্ত্রে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি) ম্যুরাল স্থাপন করে তাঁদের ত্যাগের সেই ইতিহাস নবপ্রজন্মের পুলিশ সদস্যদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এর আগেও সিএমপি বিজয় ’৭১ নামে আরেকটি ম্যুরাল স্থাপন করেছিল। আমরা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সিএমপিকে ধন্যবাদ জানাই।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী দামপাড়ায় নগর পুলিশের (সিএমপি) সদরদপ্তরে নবনির্মিত ‘প্রতিরোধ-৭১’ শীর্ষক ম্যুরাল উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন। এসময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম মোস্তাক আহমেদ খানসহ সিএমপির উপ-কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী আরো বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের ত্যাগ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে গর্বিত ও দায়িত্বশীল করেছে। ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে পাক হায়েনারা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে হামলে পড়ে। পুলিশের তৎকালীন সদস্যরা ওই হামলা প্রতিহত করেন থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে। ওই প্রতিরোধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন এবং নয় মাসের যুদ্ধে সারাদেশে যেসব পুলিশ সদস্য, কর্মকর্তা শহীদ হয়েছেন তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

অনুষ্ঠানে সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত আছে।

এফএম/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!