স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের টেন্ডারেও ‘অনিয়ম’

চট্টগ্রামের চান্দগাঁও অবস্থিত বিনোদন কেন্দ্র স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পরিচালনা ও সংরক্ষণের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন এ কমপ্লেক্সের লিজ বিষয়ে দরপত্র প্রক্রিয়াটি বাতিল করে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন করেছে চট্টগ্রামের কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

গত ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বরাবর এ আবেদন করে মেসার্স জুলফিকার এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মুক্তি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন বহুমুখী সমবায় সমিতি। এদের পক্ষে আবেদনে স্বাক্ষর করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমেদ।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পরিচালনা ও সংরক্ষণের টেন্ডারের বিষয়ে একাধিকবার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করে। ২০ নভেম্বরের তারা উন্নয়ন শাখার ৭১৩ নম্বর অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। সে সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাদের বলেছিলেন, যখন টেন্ডার দেওয়া হবে তখন সবাইকে জানানো হবে।

এরপর সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো একই অফিসে আবার যোগাযোগ করলে তারা জানান, টেন্ডারের বিষয়ে গত ৫ নভেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। টেন্ডার জমা দেওয়ার তারিখ ২৪ নভেম্বর শেষ হয়ে গেছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, টেন্ডার চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করলেও তারা টেন্ডারের বিষয়টি গোপন রাখেন।

টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবরে করা আবেদনপত্রে তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও অসংগতি হয়েছে। অনিয়মের কারণে আমরা অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।’

একই পত্রের মাধ্যমে তারা মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও এই টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় টেন্ডার প্রক্রিয়া চালুর আবেদন করেন।

এ বিষয়ে জুলফিকার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর সৈয়দ গোলাম সায়েম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের এতবড় একটা টেন্ডার সিডিউল একটা মাত্র পত্রিকায় আসবে কেন? আমরা কয়েকবার মন্ত্রনালয়ে গিয়ে খবর নিয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল, ডিসেম্বরের ১২ তারিখ টেন্ডার শিডিউল প্রকাশ করা হবে। আমরা রিটেন্ডারের জন্য আবার আবেদন করেছি মন্ত্রনালয়ে। পার্কটিকে বিএনপির কবজা থেকে বের করে আমরা স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নাম দিয়েছিলাম। এ পার্কের জন্য আমাদের অনেক শ্রম ব্যয় হয়েছে। কিন্তু তার মূল্য আমরা পেলাম না।’

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!