সুদূর আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসেন তারা। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ র্যাবের তল্লাশি। তারপর তাদের ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে একে একে ৩টি স্বর্ণের বিস্কুট, বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট, ক্যামেরা, মোবাইল, ল্যাপটপ, জুতাসহ আরো রকমারি বিদেশি পণ্য। র্যাব বলছে, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে বিমানবন্দরের বাইরে চেকপোস্ট থেকে এভাবেই গ্রেফতার হয় চোরাচালান চক্রের ৯ সদস্য।
র্যাবের হাতে আটক চোরাচালান চক্রের সদস্যরা হলো- ফটিকছড়ির উত্তর রোসাংগীরি এলাকার নুরুল আলমের ছেলে মো. রশিদুল করিম (২২), হাটহাজারী গড়দুয়ারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে মো. হারুন (৩৫), ফেনীর ছাগলনাইয়া এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. সাজ্জাদ মহেশ (২৭), ফুলগাজী এলাকার সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ নাজিম উদ্দীন (৩৫), মমতাজুল হকের ছেলে মো. আলী হোসেন (৪২), আবদুল মতিনের ছেলে মো. আবদুল আজিম (২৭), আবুল খায়েরের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাহাবুদ্দীন (২৮), ওবায়বদুর রাজ্জাকের ছেলে আবুল কালাম (৪২)।
র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার মাহমুদুল হাসান মামুন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের প্রধান গেটের বাইরে থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত হতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আগত সংঘবদ্ধ চোরাচালানচক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় সোনার বিস্কুট, বিপুল পরিমাণে বিদেশি সিগারেট ও অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রী। তবে শাহ আমানত বিমান বন্দরের চিরুনি তল্লাশি কিভাবে পেরিয়ে এলো এই চক্র এমন প্রশ্নের জবাবে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারে নি র্যাবের কর্মকর্তারা।
তবে র্যাব-৭ এর অপারেশন অফিসার মো. মাশকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, চোরাচালান চক্রের সদস্যরা মাসে ৩ থেকে ৪ বার বিদেশে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এদের উপর নজর ছিল র্যাবের।
এএ