স্নেহাশিষের ‘স্নেহে’ রেল পূর্বাঞ্চলে আবারও চুক্তিতে নিয়োগ ১৭ গার্ড

ট্রেনিংপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তারা উপেক্ষার শিকার

অর্ধেক জনবল দিয়ে চলছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ট্রাফিক বিভাগ। ২ হাজার ৫৩৪টি পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ১২৭৯ জন। এর মধ্যে ঢাকা পরিবহন দপ্তরে ৭৮৫ জন এবং চট্টগ্রাম পরিবহন দপ্তরে আছেন ৪৬২ জন। শূন্যপদের সংখ্যা ১২৫৫টি।

এ সংকটের মধ্যে ১৭ জন গার্ডকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশিষ দাশগুপ্তের ‘বিশেষ স্নেহে’ এ ১৭ জন মেয়াদ শেষের পরেও আবার নিয়োগ পেয়েছেন চুক্তিতে।

জানা গেছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে রেলের বিভিন্ন পদে কর্মরতদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পদোন্নতি দিয়ে নিযুক্ত করার বিধান থাকলেও তা প্রতিপালন করা হয়নি। অভিযোগে জানা গেছে, গার্ড ট্রেনিং করা স্থায়ী কর্মচারীদের সুযোগ না দিয়ে যাদের চুক্তির মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে তাদেরই টাকার বিনিময়ে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আর নিয়োগে দুর্নীতির এ অভিযোগ বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশিষ দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে। চুক্তিভিত্তিক গার্ডদের মাসিক বেতন ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। ফলে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে চুক্তিতে গার্ড নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়া হয়, বছর শেষ না হতেই আবারও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য নেয়া হয় টাকা। ফলে স্থায়ী নিয়োগের চেয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নজর থাকে কর্মকর্তাদের।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশিষ দাশগুপ্তের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট (সিওপিএস) জাকির হোসেন বলেন, চুক্তিভিত্তিক গার্ড নিয়োগে অনিয়ম হলে তা তদন্ত করে দেখা হবে। নিয়োগবিধি অনুযায়ী ৮০% সরাসরি নিয়োগ, ২০% পদোন্নতি ভিত্তিতে গার্ড ট্রেনিং প্রাপ্তদের মাঠে কাজ করানো হবে।

চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন জনবল নিয়োগে গঠিত কমিটি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য জনবল উপহার দিবে। সুতরাং সংকট থাকলেও একটু ধৈর্য ধারণ করতেই হবে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!