স্ত্রীর করা নির্যাতনের মামলায় জামিন হলো জামালখান ওয়ার্ড সচিব পারভেজের

স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের মামলায় জামিন পেয়েছেন ২১ নম্বর জামাল খান ওয়ার্ডের সচিব মো. পারভেজ কবির। সোমবার (২ মার্চ) আবু সালেহ মোহাম্মদ নোমানের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

ওয়ার্ড সচিব পারভেজ কবীরের দ্বিতীয় স্ত্রী শিউলি আক্তার (৩০) মামলায় অভিযোগ করেন, ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্বামী তাকে মারধর করতেন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও তাকে শারীরিক নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিলে তিনি আদালতে মামলা করেন। এরপর স্বামী পারভেজ কবীরকে হাজতে পাঠায় আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওয়ার্ড সচিব পারভেজ কবির ২০১৯ সালের ১৮ই আগস্ট ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শিউলি আক্তার। বিয়ের কয়েকমাস ভালোভাবে দাম্পত্য জীবন কাটালেও পরবর্তীতে স্বামীর অর্থলোভী ও নির্যাতক চরিত্র দেখা যায়। বর্তমানে বাদি শিউলি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বামী পারভেজ নতুন ভাড়া ঘর তৈরির জন্য শিউলিকে বাপের বাড়ি থেকে পাওয়া জমি বিক্রি করে ২০ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন। শিউলি পারবে না বললে তাকে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এরপরও শিউলি সংসারের স্বার্থে মামলা করেননি। এরপর গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় ২০ লাখ টাকার জন্য স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে পারভেজ। ওই ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শিউলিকে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দিলে শিউলি আবার স্বামীর ঘরে ফিরে আসেন। আসার পর শিউলিকে আবার নির্যাতন ও তার গর্ভের সন্তানকে হত্যার হুমকি দিলে থানায় মামলা করতে যান শিউলি। থানায় মামলা না নিলে আদালতে মামলা দায়ের করেন শিউলি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পারভেজ কবীরের প্রথম স্ত্রী রাশেদা বেগম বলেন, ‘সম্পত্তির লোভে আমার স্বামীকে বিয়ে করেন আমার তালতো বোন শিউলি। ডিভোর্সের কথা একবার ভেবেছি আবার আমার দুইজন সন্তানের কথা চিন্তা করে ডিভোর্স প্রত্যাহার করি। শিউলি ষড়যন্ত্র করে সম্পত্তির লোভে আমার স্বামীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই শিউলি ফ্ল্যাট দাবি করেন। আমার স্বামী ফ্ল্যাট দিতে অস্বীকার করলে সে ক্ষিপ্ত হয়। তাকে নির্যাতনের ঘটনা মিথ্যে। এছাড়া আমার স্বামী ঘটনার দিন ওই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তিনি অফিসে ছিলেন। তার প্রমাণও আছে।

শৈবাল দাশ সুমন প্রত্যয়ন পত্রে লিখেন, ‘ওয়ার্ড সচিব পারভেজ কবীর ১৫ ফেব্রয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়ার্ডের অতিরিক্ত কাজে অফিস সময়সূচি ৫টার পরও ৯টা পর্যন্ত অফিসের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।’

এনজে/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!