আদালতের স্টে অর্ডার থাকার পরও শিক্ষকের টিনের ঘর ভেঙে ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে কাজী নুরুল আজিম নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ওই সময় তারা ঘরে থাকা মালামাল ভাংচুর ও লুট করে। এ ঘটনায় ড. কাজী গালিব আহসান নুরুল আজিমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। ড. কাজী গালিব বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম নিশ্চন্তাপুরে কাজী নাছির উদ্দীন ও কাজী নুরুল আনোয়ার প্রকাশ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ড. গালিব আহসান ২ শতক জমি কেনেন ২০০৫- ২০০৭ সালে । ২০১৬ সালে কাজী নুরুল আজিম জমিটি তার বলে দাবি করেন। এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা নম্বর (০৬/২০২০)। রায় না হওয়া পর্যন্ত আদালত জমি যে অবস্থায় আছে সেভাবেই রাখার নির্দেশ (স্টে অর্ডার) দেন আদালত। গত ৫ জুলাই ওই স্টে অর্ডার অমান্য করে অভিযুক্ত নুরুল আজিম ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে এসে বিবদমান ভূমিতে থাকা টিনের ঘর ভেঙ্গে দেন। ৬ জুলাই তার বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ নম্বর ৪০৪/১০/৭/২০। ওই সময় তিনি ঘরে থাকা জিনিসপত্রও ভাংচুর করেন।
এর আগে হয়রানি ও সামাজিকভাবে সম্মান নষ্ট করার অভিযোগ এনে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি নুরুল আজিমের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ড. গালিব আহসান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী নুরুল আজিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি ঘর ভেঙ্গেছি একথা সত্য নয়। আমার জায়গা আমার দখলেই আছে। আমার জায়গায় কেউ ঘর নির্মাণ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জায়গার ওপর একটি টিনের ঘর ছিল, সেটা কে বা কারা ভেঙ্গেছে আমি জানিনা। এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। আর তারা যাদের কাছ থেকে জমি কিনেছে সে জায়গা তাদের দখলে আছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভাংচুরের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
এসএস