স্ক্যানারের নিচে কনটেইনারের পরীক্ষা, বন্দরে আসছে আরও ৭

দুটির উদ্বোধন মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার পরীক্ষা আরও সহজ করার লক্ষ্যে ইয়ার্ডে বসানো হবে আরও ৭টি স্ক্যানার। নতুন দুটি স্ক্যানার উদ্বোধন করা হচ্ছে মঙ্গলবার। এ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও ৭টি স্ক্যানার বসানো হবে বন্দরের বিভিন্ন গেটে।

ইতোমধ্যে চীন থেকে আমদানি করা দুটি স্ক্যানার উদ্বোধন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ আশা করছে এ বছরের মধ্যেই নতুন আরো সাতটি স্ক্যানারে অপারেশনাল করা সম্ভব হবে। এতে বন্ধ হবে সব ধরনের চোরাচালান, মিথ্যা ঘোষণা, আন্ডার ইনভয়েস, ওভার ইনভয়েস ও মানিলন্ডারিং।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের ৪ নম্বর গেট, ৫ নস্বর গেট, সিসিটি ২-এ তে একটি করে স্ক্যানার এবং একটি মোবাইল স্ক্যানারসহ মোট চারটি স্ক্যানার আছে। তবে এই চারটি স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার পরীক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। এতে বন্দরের অভ্যন্তরেই যানজট ও কন্টেইনার জট লেগে যায়। অনেক সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে শতভাগ স্ক্যানিং ছাড়াই কন্টেইনার ছেড়ে দিতে হতো। নতুন করে স্ক্যানিং মেশিন বসানোয় কন্টেইনার পরীক্ষায় কিছুটা গতি আসবে বলে মনে করছে বন্দর ও কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার (প্রিভেনশন) মাহবুবুর রহমান বলেন, এফএস ৬০০০ মডেলের ফিক্স কনটেইনার স্ক্যানার মেশিন দুটি আমদানি করা হয়েছে চীন থেকে। এ দুটি বন্দরের ১ নম্বর গেট এবং এনসিটি ৩ নম্বর গেটে বসানো হয়েছে। যা উদ্বোধন করবেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম। চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার পরীক্ষা আরো নিরবিচ্ছিন্ন করতে নতুন দুটি ছাড়াও আরো ৭ স্ক্যানিং মেশিন সংযোজনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, ‘চোরাচালান ও অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নিরবচ্ছিন্ন স্ক্যানিং নিশ্চিতকরণে কাস্টমস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর অংশ হিসেবে নতুন স্ক্যানার সংযোজন করা হচ্ছে। এ বছরের মধ্যে আরো ৭টি কনটেইনার স্ক্যানার ক্রয়ের প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। এ ধরনের স্ক্যানার দিয়ে ঘণ্টায় ১শটির বেশি কনটেইনার স্ক্যান করা যাবে। এতে কাস্টমসের কাজের আরো গতিশীল হবে।

কাস্টম সূত্র জানায়, স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে আমদানি কিংবা রপ্তানির কন্টেইনার ভর্তি পণ্যের ভেতর কোন ধরনের পণ্য রয়েছে তা কম্পিউটারে দেখা যায়। এই মেশিনের মাধ্যমে এক পণ্য ঘোষণা দিয়ে অন্য পণ্য আমদানি রোধসহ জালিয়াতি বন্ধ করা যাবে।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!