স্কুল ছাত্রী পলি হত্যা মামলায় বাড়িওয়ালা কারাগারে, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্কুল ছাত্রী রেবেকা সুলতানা পলির (১৩) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বাড়িওয়ালা আবুল কাশেম খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘ নাটকীয়তার পর পলির ভাইয়ের করা মামলায় বাড়িওয়ালাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। তবে শুক্রবার রিমান্ড শুনানি না হওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, ‘স্কুল ছাত্রী পলির ভাইয়ের করা মামলায় গতকালই বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়েছিল। পরে সেই মামলায় আজ (৪ অক্টোবর) তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার হওয়ায় রিমান্ড শুনানির দিন আদালত খোলার দিন ধার্য করে আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

পলি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন কিনা জানতে চাইলে ওসি সুকান্ত বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কিছু স্বীকার করেনি। তবে আমরা তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন করেছি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষেই সেটা বলতে পারব।’

এর আগে বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে নগরীর বন্দর থানার দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহরে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে রেবেকা সুলতানা পলি (১৩) নামের এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। বুড়ি পুকুর পাড় এলাকার খান টাওয়ারের নিচতলায় স্বামী পরিত্যক্তা মা ও কলেজ পড়ুয়া ভাইকে নিয়ে থাকতো স্কুল ছাত্রী পলি। পলি নগরীর হলিশহর আহমদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের (সিটি কর্পোরেশনের স্কুলে) ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তারা খাগড়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার মা বন্দর এলাকায় সিইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত। নিহতের বাবা অন্য একটি বিয়ে করে মালয়েশিয়া পাড়ি দেন। বর্তমানে নিহত পলির মা উপার্জন করে সংসার চালান। পলির বড় ভাই রাসেল অনার্স শেষ করে বিসিএস কোচিং করছেন।

এদিকে ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি খাগড়াছড়িতে রেবেকা সুলতানা পলির দাফন সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া স্কুল ছাত্রী পলিকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তারা বাড়িওয়ালা আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিচার দাবি করেন।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!