স্কুলপাস ‘দাঁতের ডাক্তারে’ ভরা চট্টগ্রাম, দাদার চেয়ারে নাতি আর মামার দোকানে ভাগ্নেও ‘ডেন্টিস্ট’

অ্যানেসথেসিয়া থেকে দাঁত বাঁধাই— সবই হচ্ছে হাতুড়েদের হাতে

পাস করে নয়, আবার ট্রেনিং নিয়েও নয়। চট্টগ্রাম নগরীজুড়ে অন্তত শতাধিক ‘দাঁতের ডাক্তার’ আছেন, যারা ‘ডাক্তার’ সেজে বসেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে কিংবা ‘দেখে দেখে’। মুদি দোকানের কর্মচারী কিংবা ক্লিনিকের পিয়ন যেমন দেখে দেখে ‘ডাক্তার’ বনে গেছেন, তেমনি ‘ডাক্তার’ দাদার চেয়ারে এখন নাতনিই ডাক্তার সেজে বসছেন, বাবার পর ছেলে নিয়েছেন ‘ডাক্তারির’ গুরুদায়িত্ব। পারিবারিক এই অদ্ভূত চিকিৎসা-ব্যবসায় মামার চেম্বারে ভাগ্নে, চাচার ক্লিনিকে ভাতিজাই রীতিমতো ডাক্তার বনে ‘দাঁতের চিকিৎসা’ দিয়ে চলেছেন।

এদের বেশিরভাগই পারিবারিক সম্পর্কের সূত্র ধরে এখন ‘দন্ত চিকিৎসক’— সাধারণভাবে ‘ডেন্টিস্ট’ হিসেবেই পরিচিতি তাদের। একই পরিবার থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে আসা এসব ‘ডেন্টিস্ট’ চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে করে যাচ্ছেন দন্তচিকিৎসার রমরমা ব্যবসা। চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘি, পতেঙ্গা, ইপিজেড, আগ্রাবাদ, চকবাজার, মুরাদপুর, জামালখানসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে এরকম বহু কথিত ডেন্টিস্টের খোঁজ মিলেছে— চিকিৎসার নামে যারা দাঁতের রোগীদের পকেট কাটছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদের বেশিরভাগেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা বড়জোর এসএসসি। কয়েকজন আছেন এইচএসসি পাশ। অনেকে আবার স্কুলের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। কিন্তু তারাই ‘দাঁতের ডাক্তার’ সেজে নগরীতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

এদের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে দাঁতের চিকিৎসা করাতে এসে সহজ-সরল অনেক মানুষ ট্রান্সমিশন ডিজিসের শিকার হয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন হেপাটাইসিস বি ও সি-তে।

দাদার চেম্বারে নাতনিই ‘ডেন্টিস্ট’

নগরীর লালদিঘি জেবি টাওয়ারের সরু গলির মধ্যে দোকান সাজিয়ে বসেছে ‘সুমন ডেন্টাল ক্লিনিক’। ছোট দুটি ঘরের একটিতে রোগী বসার জায়গা। অন্যটিতে রোগী দেখেন সুপ্রিয়া দেবী। তিনি সুমন ডেন্টাল ক্লিনিক মালিক সুমনের নাতনি। এইচএসসি পাস করার পর ফিরিঙ্গিবাজারের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজির অধীনে ৪ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স শেষে তিনি এখন দাঁতের চিকিৎসা দিচ্ছেন। সুপ্রিয়া দেবীর সহকারী টিনা চৌধুরী। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা তার। দাঁত বাঁধানো, ক্যাপ, ব্রিজ, ক্যাপল, স্ক্যানিং, ফিলিংসহ আকাবাঁকা দাঁতের চিকিৎসা করা হয় সুমন ডেন্টাল ক্লিনিকে— জানান সুপ্রিয়া দেবী।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় ওই ‘ডেন্টাল ক্লিনিকে’ গিয়ে দেখা গেল, আজাদ নামে একজন এসেছেন দাঁতের রুট ক্যানেল করাতে। সুপ্রিয়া দেবী জানান, রুট ক্যানেলে খরচ পড়ে প্রথমে ৩ হাজার টাকা। এটি করতে রোগীকে ৪ থেকে ৫ বার আসতে হয়। প্রথমে দাঁত ওপেন বা খোলা, তিনদিন পর ড্রেসিং, দ্বিতীয় বার এক্সরে করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে রোগীদের ড্রেসিং, ক্যালসিয়াম ড্রেসিং, অ্যান্টিবায়েটিক ড্রেসিং দেওয়া হয়। তারপর রোগীর দাঁতে পরানো হয় ক্যাপ।

মুদি দোকানের চাকরি ছেড়ে ‘ডেন্টাল ক্লিনিক’

লালদিঘিতেই শুধু নয়, নগরীর অন্য জায়গাতেও আছে এমন দন্তচিকিৎসকের উপদ্রব। নগরীর আগ্রাবাদের চৌমুহনী ‘শেফা ডেন্টাল কেয়ারে’ দাঁতের চিকিৎসা দেন কামাল হোসেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী। তিনি আগে কর্ণফুলী মার্কেটে মুদি দোকানে সাড়ে চার হাজার টাকার বেতনে চাকরি করতেন তিনি। ওই মুদি দোকানের মালিকের মেয়ে জামাইয়ের ডেন্টাল ক্লিনিক ছিল লালদিঘিতে। ১৫-১৬ বছর আগে পরিচয়ের সেই সূত্র ধরে ওই ক্লিনিকে তার আসা-যাওয়া। সেখানে কিছুদিন হাতেকলমে শিখে তিনি চৌমুহনীতে ‘শেফা ডেন্টাল কেয়ার’ নামের ক্লিনিক খুলে বসেন। এখন তিনি দাঁত তোলা, বাধাই ও স্কেলিং ও ফিলিংয়ের কাজ করে থাকেন। তার ভিজিট প্রথমবার ৩০০ টাকা এবং পরে আসলে ২০০ টাকা।

নগরীর আসকারাবাদ পার হয়ে ঈদগাঁও কাঁচা রাস্তার মোড়ে ১০ বছর ধরে দাঁতের ডাক্তারি করছেন সুজা ইসলাম। তিনিও হাইস্কুলের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। ঢাকায় এক ডেন্টাল কেয়ারে একসময় চা-পানি আনার কাজ করতেন। সেখানে থাকতে থাকতেই তার দাঁতের ডাক্তার হওয়া— জানান সুজা ইসলাম। ছোট্ট একটা ঘরে বসে রোগী দেখেন তিনি। রোগীদের দাঁত তোলা ও বাঁধাইয়ের কাজ করেন। পাশেই একটি মুদি দোকান। সেটি তার ছোট ছেলে রায়হানের।

মামার পর ভাগ্নেও এখন ‘ডাক্তার’

লালদিঘি পাড়ের সুমন ডেন্টাল ক্লিনিকের পাশেই প্রাইম ডেন্টাল ক্লিনিক। এখানে ৭ থেকে ৮ বছর ধরে রোগী দেখেন রমেন বড়ুয়া। তিনি টেকনিশিয়ান। আগে এখানে ‘চিকিৎসা’ দিতেন দিলীপ চৌধুরী। দিলীপ সম্পর্কে রমেনের মামা। মামার পর এখন উত্তরাধিকারসূত্রে ভাগ্নে অবতীর্ণ হয়েছেন ডাক্তারের ভূমিকায়। রমেন বড়ুয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস। তবে রমেন দাবি করেছেন, দাঁত বাঁধাই, রুট ক্যানেল, স্কিলিং, ফিলিংসহ দাঁতের যাবতীয় চিকিৎসার কাজই তিনি জানেন। তবে প্রাইম ডেন্টাল ক্লিনিকে দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কোনো যন্ত্রপাতিই দেখা যায়নি।

অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে ‘ডেন্টিস্ট’ দিলীপের আধঘন্টার অপেক্ষা

লালদিঘির এই একই মার্কেটে পাওয়া গেল দন্তচিকিৎসার আরও একটি দোকান— দন্তসেবা প্লাস ক্লিনিক। ঢাকা থেকে ডিপ্লোমা করেছেন দাবি করে এর মালিক দিলীপ বড়ুয়া জানান, এখানে বয়স্ক ব্যক্তিদের দাঁত তুলে দাত বাঁধানোর কাজ করা হয়। চিকিৎসা পদ্ধতি বলতে গিয়ে তিনি জানান, প্রথমে বৃদ্ধ রোগী আসলে তার রোগ সম্পর্কে জানেন। তারপর নিজেই অ্যানেসথেসিয়া (সার্জারির সময় অজ্ঞান করা) দিয়ে রোগীকে অজ্ঞান করেন। আধঘন্টা অপেক্ষা করার পর রোগীর শরীর অবশ হয়ে গেলে তিনি তখন বৃদ্ধ রোগীর দাঁত তুলে ফেলেন। তবে যেসব বয়স্ক ব্যক্তি মদ্যপান করেন, আনেসথেসিয়া দেওয়ার পরও তারা অজ্ঞান হন না বলে জানান ‘ডেন্টিস্ট’ দিলীপ। এমন রোগীদের তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। তবে অন্য রোগীদের জ্ঞান ফেরে ঘন্টাখানেক পর— এমন তথ্য জানিয়ে দিলীপ জানান, রোগীর জ্ঞান ফেরার পর রোগীর হাতে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেন তিনি। ৭ থেকে ১০ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে দেন প্রেসক্রিপশনে। দুই মাস পর আবার রোগীকে আসতে বলেন। পরে রোগী আসলে তারপর রোগীর দাঁত বানিয়ে লাগিয়ে দেন মাড়িতে। পুরো এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া চালিয়ে নিতে রোগীর কাছ থেকে বড় একটা অংকের অর্থ নেন বলে জানান দিলীপ বড়ুয়া। সাধারণত ১৫ থেকে ১৭ হাজারের মধ্যে দাঁতের এই চিকিৎসা হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

লালদিঘিতেই কেবল জনাত্রিশেক ‘দন্ত চিকিৎসক’

জানা গেছে, লালদিঘির পাড়ে ২৮ থেকে ৩০ জন টেকনিশিয়ান রয়েছেন যারা নিয়মিত দাঁতের রোগী দেখে থাকেন। তারা যে ছোট ঘরটাতে রোগী দেখেন তাকে ‘ক্লিনিক’ বলে চালালেও দাঁতের চিকিৎসায় যেসব যন্ত্রপাতি দরকার তার ন্যূনতম কিছুই নেই।

সরেজমিন ঘুরে এসব চেম্বারে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ টেকনিশিয়ান নিজেদের ‘ডেন্টিস্ট’ পরিচয় দিলেও কাজের কাজ তারা কিছুই বোঝেন না। রোগীকে রুট ক্যানেল না করিয়ে দাঁতের ক্যাপও লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ রোগীদের।

‘চীনা ডাক্তারের পুরাতন লোক’

লালদিঘির পশ্চিম পাড়ের স্মৃতি ডেন্টাল কেয়ারে রোগী দেখেন নুর হোসেন। তার ভিজিটিং কার্ডে লেখা তিনি সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কার্ডে আরও লেখা নূর হোসেন মো. মানিক ‘চীনা ডাক্তারের পুরাতন লোক’।

আমানত ডেন্টাল কেয়ারে রোগী দেখেন মো. ইমরান। তার নেমপ্লেটে লেখা আছে ‘চাইনিজ ডাক্তার টেকনিশিয়ান’। এর কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে ইমরান জানান, তার বাবা মোহাম্মদ ইউনুছ লালদিঘি মোড়ে চাইনিজ ডেন্টাল ক্লিনিকের টেকনিশিয়ান ছিলেন। তার বাবা মারা গেছেন ১০ থেকে ১২ বছর হবে। এসএসসিতে ফেল করার পর তিনি বাবার চেম্বারে বসতে শুরু করেন। দাঁত বাঁধাইয়ের কাজ করেন তিনি। যেসব রোগীর দাঁত পড়ে যায়, তাদেরকে তিনি ফলস (নকল) দাঁত লাগিয়ে দেন। প্রথমে দাঁতের আকৃতি নিয়ে ডাইস বানিয়ে রাসায়নিক পাউডার মিশিয়ে ফলস দাঁতগুলো গরম পানিতে সেদ্ধ করেন। এরপর দাঁত লাগিয়ে দেন রোগীকে।

‘এমবিভিডিএডিডি’ ডিগ্রি মানে ‘মেম্বার অব ভিলেজ ডক্টর’

লালদিঘির পশ্চিম পাড়ে নবগ্রহ বাড়ি মন্দিরের পাশে পূবালী ডেন্টাল ক্লিনিকে রোগী দেখেন জিকে বড়ুয়া। তার ভিজিটিং কার্ডে লেখা আছে ‘এমবিভিডিএডিডি’। জিকে বড়ুয়ার কাছ থেকে এর পূর্ণ রূপ হিসেবে জানা গেছে— ‘মেম্বার অব ভিলেজ ডক্টর’।

এই দোকানের ঠিক পাশেই পূরবী ডেন্টাল কেয়ারে রোগী দেখেন ডেন্টিস্ট প্রকৃত রঞ্জন বড়ুয়া। তিনি বলেন, এই চেম্বারটি আগে ছিল তার জেঠা বা বাবার বড় ভাইয়ের। জেঠার সহকারী হিসেবে তিনি কাজ করতে গিয়ে দাঁতের চিকিৎসা শিখে ফেলেছেন। তার ফি ৩০০ টাকা। তিনি দাঁত বাঁধাই, স্কেলিং ও ফিলিংয়ের কাজ করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা তার এসএসসি।

দূরত্ব ১০০ গজ, তবু নেই অ্যাকশন

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে লালদিঘির দূরত্ব প্রায় ১০০ গজ। তবু কেন কথিত ডেন্টিস্টদের বিরুদ্ধে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না— সে বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, ‘এর আগে কথিত ডেন্টিষ্টদের বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে অ্যাকশনে যাওয়া হয়েছিল। মোটা অংকের টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। কিন্তু করোনার সময়ে বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি নিয়ে কিছু করা হয়নি।’ তবে এদের বিরুদ্ধে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।

ট্রান্সমিশন ডিজিসের শিকার হচ্ছে অনেকেই

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডা. সরওয়ার কামাল মুঠোফোনে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ডাক্তার বলে দাবি করলেও এসব কথিত দাঁতের ডাক্তার যথাযথ চিকিৎসা জানে না। যেমন একজন রোগীর দাঁতে রুট ক্যানেল করা যাবে না। কিন্তু তারা সেটাই করে। অনেক ক্ষেত্রে রুট ক্যানেল না করেও প্রাথমিক পর্যায়ে ফিলিং করে দিলে হয়। কিন্তু তারা রুট ক্যানেল করায় কিছুদিন পর রোগীর ক্ষত স্থানে ইনফেকশন তৈরি হয়। পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে রোগীর মাড়িকে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

তিনি বলেন, ‘লালদিঘী, পতেঙ্গা, ইপিজেড, আগ্রাবাদ, চকবাজার, মুরাদপুরসহ নগরীর যেখানে-সেখানে গড়ে উঠা এসব কথিত দাঁতের ডাক্তারের চেম্বারে এমনকি স্টেরিলাইজেশন কিংবা অটোক্ল্যাপ মেশিনও নেই। ফলে রোগীরা দাঁতের চিকিৎসা করাতে এসে ট্রান্সমিশন ডিজিসের শিকার হয়ে হেপাটাইসিস বি ও সি-তে আক্রান্ত হন।’

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) নিবন্ধিত চট্টগ্রামের চিকিৎসক ডা. খোরশেদুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যারা বিএমডিসি কর্তক নিবন্ধিত চিকিৎসক, তারাই ডেন্টিস্ট। অলিগলির এসব কথিত ডেন্টিস্টের কোনো লাইসেন্সও নেই। কথিত এই ডাক্তারদের কাছে গিয়ে রুট ক্যানেলের পর ইনফেকশন হয়, মাড়ি ফুলে যায়। অনেক সময় ক্ষত স্থান থেকে রোগীর দাঁতে ক্যান্সারেরও সৃষ্টি হয়।’

ডেন্টিস্ট্রি পড়ানো হয় শুধু ২৭ কলেজে

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদে ডেন্টিস্ট্রি অধিভুক্ত আছে, যেখান থেকে বাংলাদেশের সরকারি ৯টি ও বেসরকারি ১৮টি ডেন্টাল কলেজে ডেন্টিস্ট্রি পড়ানো হয়। যেমন ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ডেন্টাল কলেজ থেকে পাশ করার পর প্র্যাকটিস করার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল থেকে সনদ নিতে হয়। এর জন্য সফলভাবে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করতে হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!