চট্টগ্রামে এক কিশোরীর ছবি এডিট করে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন এক যুবক। এক দফায় ধর্ষণের পর একই কায়দায় আরও দুবার ধর্ষণ চেষ্টা করে জাহাঙ্গীর আলম নামের ২২ বছরের ওই যুবক। তবে ওই দুবারই যুবকের গায়ে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে আত্মরক্ষা করে ১৪ বছরের ওই কিশোরী।
পরে ভিকটিম কিশোরী ৯৯৯ নম্বরে কল করে অভিযোগ করলে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুড়িং থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে।
সোমবার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে ডবলমুরিং থানা সূত্রে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ১৪ বছরের কিশোরী। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা ফলের ব্যবসায়ী এবং মা গার্মেন্টস কর্মী। জাহাঙ্গীর প্রায়ই ভিকটিমকে বিরক্ত করত, কথা বলতে চাইত। কিন্তু ভিকটিম তাকে গুরুত্ব দিত না। একদিন কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর বাসায় চলে আসে। এসময় ভিকটিম চিৎকারের চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু নগ্ন ছবি দেখায়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘জাহাঙ্গীর এই কিশোরীর ছবি এডিট করে নগ্ন ছবি বানিয়ে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। প্রথমবার লোকলজ্জার ভয়ে ভিকটিম কাউকে কিছু বলেনি। এরপর আরও দুবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরীটি ধর্ষকের চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে আত্মরক্ষা করে।’
নগ্ন ছবির উপর কিশোরীর মুখাবয়ব বসিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল জানিয়ে মহসীন বলেন, ‘মূলত ভিকটিমের ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীরই এই নগ্ন ছবি বানায়। এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৪ বছরের সেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পরপরই ভিকটিম তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা কাউকেই বলেনি। পরের দফায় আবারো জাহাঙ্গীর ওই কিশোরীর ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে সে জাহাঙ্গীরের গায়ে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। এর পর আরও একবার জাহাঙ্গীর তার বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে। এবারো কিশোরী একই কায়দায় আত্মরক্ষা করে। মরিচের গুঁড়ার ভয়ে কাছে ঘেঁষতে না পারায় জাহাঙ্গীর অন্যভাবে কিশোরীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। শেষে আজ ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ‘
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি মহসীন।