চট্টগ্রামের জাতীয় পার্টি (জাপা) নেতা সোলায়মান আলম শেঠের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়িতে এক মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি ও জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জাপার এই প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে মিথ্যা মামলা ছাড়াও প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছেন বিভিন্নভাবে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১০টায় মাটিরাঙ্গাস্থ নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ অভিযোগ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিবার মনোনয়ন ফরম নিয়ে আবার বসে পড়ে হাস্যরসের যোগান দেওয়া সোলায়মান আলম শেঠ ২০১৮ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়িতে থেকে নির্বাচন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাটিরাঙ্গা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৩ সালে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার ১৯৯নং বাইল্যাছড়ি মৌজার মধ্যে ৮৮নং হোল্ডিং এ চার ৪.৭৫ একর (পঁচাত্তর শতক) একর টিলা ভূমির পশ্চিমাংশের ২ একর ভূমির গাছ জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে কেটে নিয়ে যান সোলায়মান আলম শেঠ।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা নিজে বাদি হয়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির আমলী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন (সি.আর মামলা নং ১৩৩/১৪)। কিন্তু এতে কোন সুফল পাননি তিনি। মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন এখনও পর্যন্ত ওই জমির খাজনা পরিশোধ করলেও সোলায়মান আলম শেঠের অত্যাচার ও জবর দখলে তিনি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যে আমি কোথাও কোন অভিযোগ করলে আমাকে এবং আমার পরিবারের অপরাপর সদস্যদের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। গত ১৪ আগস্ট কোন প্রকার সরকারি আদেশ ছাড়াই মাটিরাঙ্গা থানার এস আই হুমায়ুনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য বসতবাড়িতে গিয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন।’
একজন দেশ মাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা হানিফ হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা হানিফ মজুমদারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কেএস