সোর্স হাসানের জুয়া ও মাদকের আসরে পুলিশের হানা, আটক ৭

আকবর শাহ থানা এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজের হোতা হাসান প্রকাশ সোর্স হাসানের জুয়া ও মাদক স্পটে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মূল হোতা সোর্স হাসান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

রোববার (২ মে) রাত সাড়ে ৮টায় আকবরশাহ থানা এলাকার পাঞ্জাবি লেইন মুক্তকন্ঠ মাঠ থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়।

থানার এসআই ইসমাইল মোল্লা জানান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করে জুয়া ও মাদকের আসর ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো সিগনাল কলোনির নুরুল আফসার (১৮),নোয়াপাড়া কাজী বাড়ীর তাহমিন (১৮) আকবরশাহ প্রবাহ নগরের সামিউল শেখ স্বপন (১৯), পাঞ্জাবি লেইনের মোঃ শাওন (১৯), নোয়াপাড়া আবুল কাসেমে বাড়ির ইমাম হোসেন ইমন, সিগনাল কলোনির ইব্রাহিম (১৯) ও পাঞ্জাবী লেইনের নুর নবী (১৯)।

অভিযোগ রয়েছে আকবরশাহ এলাকার সোর্স হাসানের নেতৃত্বে এ সব অপকর্ম পরিচালিত হয়ে আসছিল বেশ কিছু দিন ধরে। সোর্স হাসান বেশ কিছুদিন ধরে গোপনে জুয়া ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। ২০১৬ সালে অস্ত্র বিক্রি করার ফলে নৌবাহিনীতে কর্মরত জসিম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলে সে সোর্স হাসানের নাম উল্লেখ করে। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়। তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলেও প্রতিবারই টের পেয়ে পালিয়ে যায় সে। পরে ওসি বদলী হলে আবার এলাকায় প্রবেশ করে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ভূমিদখল, ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার মামলা রয়েছে।

কিছুদিন আগে এক যুবলীগ কর্মীকে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর পর গা ঢাকা দেয় সে। এরপর কয়েকদিন আগে রোজার মধ্যেই লকডাউনের সুযোগে এলাকায় প্রবেশ করে আবার অপকর্ম শুরু করে।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল আলম জসিম বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ এলাকাবাসীর। দীর্ঘদিন এলাকায় না থাকলেও হঠাৎ করে সে প্রকাশ্যে আসে বলে এলাকাবাসী জানালে বিষয়টি থানাকে অবহিত করি।

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অপরাধ করলে সে যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না। হাসানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।’

জেএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!