সৈকতে ভেসে আসছে শত শত টন বর্জ্য ও মদের বোতল, দেখে প্রশাসনই হতভম্ব

বর্জ্যে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে সামুদ্রিক প্রাণী

দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নেই কোন পর্যটকের আনাগোনা। সাড়ে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ এখানকার হোটেল-মোটেল থেকে শুরু করে সব পর্যটন কেন্দ্র। তবে জনশূন্য বিশ্বের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকত হঠাৎ সয়লাব হয়ে গেছে শত শত টন বর্জ্যে।

জানা গেছে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, দরিয়া নগর থেকে শুরু করে হিমছড়ি সৈকত এলাকা পর্যন্ত শনিবার (১১ জুলাই) রাত থেকে ভেসে আসছে এসব বর্জ্য। এত বর্জ্য হঠাৎ কোত্থেকে আসছে তা অনুসন্ধান শুরু করেছে প্রশাসন।

রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক বর্জ্য, ছেঁড়া নাইলনের জাল ও শত শত বিভিন্ন প্রকারের মদের বোতল। এসব বর্জ্যে আটকে সামুদ্রিক নানা প্রজাতির প্রাণি মারা পড়ার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের মাত্রাও বেড়েছে।

সৈকতে ভেসে আসছে শত শত টন বর্জ্য ও মদের বোতল, দেখে প্রশাসনই হতভম্ব 1

এদিকে এসব বর্জ্যে আটকে গিয়ে ইতোমধ্যে মারা গেছে সামুদ্রিক কচ্ছপসহ কয়েক প্রকারের প্রাণী। আবার আটকেপড়া অনেক জীবিত কচ্ছপকে সমুদ্রে অবমুক্তও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ নামের কক্সবাজারভিত্তিক পরিবেশ সংগঠনের চেয়ারম্যান আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, শনিবার রাত থেকে এসব বর্জ্য আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে প্লাস্টিক, ইলেকট্রনিক বর্জ্য আর ছেঁড়া জাল দেখা গেছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, বিষয়টি তিনি শুনে সঙ্গে সঙ্গে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি বর্জ্যগুলো কোত্থেকে এসেছে এবং কিভাবে তা অপসারণ করা যায় তা দেখা হচ্ছে।

বর্জ্যে আটকে কয়েকটা কচ্ছপ মারা যাওয়ার বিষয় স্বীকার করে জেলা প্রশাসক বলেন, ইতোমধ্যে সেখান থেকে অনেকগুলো জীবিত কচ্ছপ অবমুক্ত করা হয়েছে সাগরে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!