সেমির বন্দর কত দূর?

বার্মিংহামে আজ বাংলাদেশ নামবে সেমি-ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে; পক্ষান্তরে ভারত লড়বে সেমির বন্দরে নোঙর ফেলতে। ভারত বধের আশায় বাংলাদেশ এক সপ্তাহ ধরে সবগুলো অস্ত্র শান দিচ্ছে। এই বার্মিংহামে ভারত দুদিন আগে উপ মহাদেশের পৌনে দুশো কোটি মানুষের প্রার্থনা বিফলে ফেলে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে, হারের প্রথম তিক্তস্বাদ নেয়।

আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ হারলে এমন কি এক পয়েন্ট পেলেও সেমির দৌড়ে হেরে যাবে আর ভারত জিতলে বা এক পয়েন্ট পেলে সেমির টিকেট বুকিং দিতে পারবে; ভারত হারলেও ৬ জুলাই শেষ শিকার হিসেবে পাবে শ্রীলংকাকে। আজ বাংলাদেশ জিতলে বিশ্বকাপের পরবর্তী পাঁচ ম্যাচের মধ্যে উইন্ডিজ-আফগানিস্তান ম্যাচ ছাড়া বাকি চার ম্যাচই গুরুত্ববহ হয়ে উঠবে।

বার্মিংহামের এই মাঠে এটি চতুর্থ ম্যাচ। আগের তিন ম্যাচের একটিতে দ. আফ্রিকার ২৪১ রান টপকে নিউজিল্যান্ড জয় লাভ করে। আরেকটি খেলায় নিউজিল্যান্ডের ২৩৭ রানের টার্গেট পাকিস্তান উতরে যায়। সর্বশেষ তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড ৩৩৭ রান করে ভারতকে ৩১ রানে হারায়।

মাত্র এক দিনের বিরতিতে ভারত এখানে আজ ম্যাচ খেলবে। পিচের ভাষা ভারতের জন্য সহজপাঠ্য হলেও হার ও বিরতিহীনতার ব্যথা এবং সেমিফাইনালের পথে দুপা দিতে না পারার চাপ থাকবে তাদের মাথায়। সুযোগের মধ্যে এটিই বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ।

কিছুটা পরিবর্তিত ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় বার্মিংহাম একটি আদর্শ ক্রিকেট উপযোগী মাঠ। এখানে ব্যাট-বলের সমান প্রাধান্য থাকবে। টস জিতলে আগে ব্যাট হাতে তুলে নেবে দুদলই। ফাইট করতে তিনশো প্লাস রান দরকার; নিশ্চিত থাকতে ৩৫০ রানের প্রয়োজন। স্মর্তব্য যে, এই মাঠেই প্রথম শ্রেণির ম্যাচে (একদিনের ম্যাচ নয়) ১৯৯৪ সালে ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান লারা ৫০১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন।

ইনিংসের শুরুতে পটাপট দুতিনটা উইকেট ফেলতে না পারলে বা তিনশোর মধ্যে বাঁধতে না পারলে ম্যাচটা ভারতেরই হবে। ৩৩০ ঊর্ধ্ব রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে না দিলেও ভারত-বধ অসম্ভব প্রায়। মাঠের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়ে আমরা হিসাবের খাতায় থাকতে চাই; সেমির বন্দরে যেতে চাই।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!