দুই পাশে পাহাড় মাঝখানে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা সড়ক আর সড়ক। দেখতে মনোমুগ্ধকর। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে টানে এই পাহাড়ি এলাকা। তবে দেখতে দৃষ্টিনন্দন হলেও একটু অসাবধানতায় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
উঁচু পাহাড়ের আঁকাবাকা পথে ইচ্ছেমত গতি নিয়ে চলার সময় প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। বাঁক পেরোতে গিয়ে দ্রুতগামী মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ে বেশি।
সবুজ পাহাড়ের দৃষ্টিনন্দন সড়কে মৃত্যুর হার কমাতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ (সওজ) নিয়েছে বিকল্প এক উদ্যোগ। বাঁক থেকে সামনের সড়ক স্পষ্টভাবে দেখতে স্থাপন করেছে কনভেক্স রোড সেফটি আয়না। এই আয়না দিয়ে সামনের সড়ক ভালোভাবে দেখা যায়।
খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম সড়কের শান্তি পরিবহনের যাত্রী শান্ত ত্রিপুরা ও জ্ঞান ত্রিপুরা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ি দেখা না যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে বেশি। সেফটি আয়না স্থাপন করায় সামনে দুর্ঘটনা কমে আসবে।
পাহাড়ি সড়কের চালকরা বলেন, বাঁকের সামনে কোনো গাড়ি আছে কিনা, তা আয়নার মাধ্যমে দেখা যায়। বাঁকে কনভেক্স রোড সেফটি আয়না স্থাপন করায় চালকদের অনেক উপকার হয়েছে। দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে এতে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ও সড়ক পরিবহন চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড নেতা নেতা মো. ইউনুছ বলেন, সড়কে যে হারে গাড়ি বেড়েছে সে হারে প্রশস্ত হয়নি সড়ক। এছাড়াও পর্যটন এলাকা হিসেবে বাইরে থেকে আসা গাড়িচালকদের অসাবধানতা দেখা যায়। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে কনভেক্স রোড সেফটি আয়না স্থাপন করায় আগের তুলনায় দুর্ঘটনা কম ঘটছে। আরও আয়না ও গতিরোধক দেওয়াসহ বাঁকের ঝোঁপ-ঝাড় কাটা হলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে।
খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বলেন, প্রত্যেকটা বাঁকা কনভেক্স রোডে সেফটি আয়না স্থাপন করা হলে সড়ক দুর্ঘটনা আরও কমে আসবে। পাশাপাশি সড়কের দুই পাশের জঙ্গল পরিস্কার করা প্রয়োজন।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে একদিক থেকে অপর দিক দেখতে কনভেক্স রোড সেফটি আয়না স্থাপন করা হয়েছে। সড়ক ব্যবহারকারীরা এতে সুফল পাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক আয়না বিভিন্ন বাঁকে স্থাপন করা হবে— যা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে।
সিপি