সেন্টমার্টিন সৈকতে মিললো ১ হাজার কেজি আবর্জনা

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে ১ হাজার কেজি আবর্জনা সংগ্রহ করে সেগুলো ধ্বংস করেছে ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর একটি দল। কেওক্রাডং বাংলাদেশ ও কোকোকোলা বাংলাদেশ যৌথভাবে এই স্বেচ্ছাসেবীদের সংগঠিত করে। ‘পিক ইট আপ, ক্লিন ইট আপ, সি চেঞ্জ’— এ স্লোগানে টানা ৯ বছর ধরে সমুদ্র উপকূল পরিচ্ছন্ন রাখতে যৌথভাবে কাজ করছে এ দুটি সংগঠন।

৩৩তম ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলে। এতে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সারাদেশ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের মূল সৈকত থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করে। স্বেচ্ছাসেবীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সমুদ্র তীর থেকে অপচনশীল ও প্লাস্টিকজাতীয় আবর্জনা সংগ্রহে করে নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে। পরে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

সেন্টমার্টিন সৈকতে মিললো ১ হাজার কেজি আবর্জনা 1

সংগৃহীত আবর্জনার মধ্যে ছিল সিগারেটের ফিল্টার, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের পানির বোতলসহ নানা ধরনের বর্জ্য। পরে আবর্জনাগুলোর তথ্য ওশান কনজারভেন্সির ট্র্যাশ ডাটাবেজে আপলোড করা হয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সমুদ্র এবং তার প্রাণীদের রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক সংগঠন ওশান কনজারভেন্সি।

সৈকত পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কোকোকোলা বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার অজয় বাতিজা বলেন, ‘কোকোকোলা বাংলাদেশ গত ৯ বছর ধরে সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করতে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭০০ স্বেচ্ছাসেবী সৈকত পরিচ্ছন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। আমরা চাই, কোনো প্লাস্টিকের বোতল পড়ে থাকতে দেখলে মানুষ যেন সেটা কুড়িয়ে নেয়, এবং ডাস্টবিনে ফেলে। যাতে সেটা সমুদ্রে গিয়ে না পড়ে।’

এর আগে গত অক্টোবরে ফেসবুকভিত্তিক ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশের (টিওবি) সদস্যরা মিলে টানা তিন দিনে ৫৫৫ কেজি ওজনের ৯৪ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেন সেন্টমার্টিনের সৈকত থেকে। ফেসবুকভিত্তিক ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশের (টিওবি) গ্রুপটির এমন উদ্যোগ সেটিই একমাত্র নয়। ২০১৮ সালেও সংগঠনটির ৫৫ জন সদস্য ১৪০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার করেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!