সেন্টমার্টিনের ভাঙা জেটি হয়ে ওঠেছে মরণফাঁদ, পর্যটক ওঠানামায় চরম ঝুঁকি

প্রতিবছর ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও এখনো পর্যন্ত সেন্টমার্টিন জেটি সংস্কার করেনি কক্সবাজার জেলা পরিষদ। অথচ দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ টেকনাফের সেন্টমার্টিনে আসা পর্যটকদের ওঠা-নামার একমাত্র ভরসা এই জেটি। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় ও সর্বশেষ ইয়াসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই জেটি। এরপর থেকে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার পর্যটক ওঠা-নামার কাজ চলছে এই জেটিতে।

সেন্টমার্টিনের ভাঙা জেটি হয়ে ওঠেছে মরণফাঁদ, পর্যটক ওঠানামায় চরম ঝুঁকি 1

সরেজমিন দেখা গেছে, সেন্টমার্টিন জেটির রেলিং কোথাও কোথাও ভেঙে পড়েছে। কিছু জায়গায় বাঁশ আর রশি দিয়ে রেলিং তৈরি করা হয়েছে। পিলারেও ধরেছে ফাটল। জেটির নিচের অংশের পুরো আস্তর উঠে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড। পার্কিং অংশের সিংহভাগই ধসে পড়েছে। ওই অংশে লোহা আর কাঠের জোড়াতালি দেয়া হয়েছে।

এছাড়া টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসছেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ এই জেটি ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জানা যায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাসিন্দা ও দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০০২-০৩ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্য এই জেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রতিবছর কক্সবাজার জেলা পরিষদ এই জেটি ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও স্থায়ীভাবে মেরামতের কাজে হাত দেয়নি। তবে গতবছর জেটির দুই পাশে কাঠ আর লোহা দিয়ে পন্টুন স্থাপন করা হয়।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র যাতায়াতের জেটির ভাঙনে বেহাল দশা হয়েছে। তাই এখানে আগত পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ওঠানামা করতে নতুন জেটির বিকল্প নেই।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে নতুন জায়গায় জেটি নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তার আগপর্যন্ত বর্তমান জেটি জেলা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করবে।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!