সেনাবাহিনীর সহায়তায় নগরীর ১৩ খালের স্থাপনা উচ্ছেদে নামছে সিডিএ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় নগরীর খাল উদ্ধারে মাঠে নামছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এ অভিযান শুরু হবে। পাশাপাশি প্রবর্তক মোড়ের নিচু ব্রিজটি ভেঙ্গে উঁচু ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে সিডিএর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী, সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ,চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, সিডিএ সচিব তাহের ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ওয়াসা, পিডিবিসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, প্রাথমিকভাবে চাক্তাই খাল, বির্জা খাল, রাজাখালী খাল, নোয়া খাল, খন্দকিয়া খালসহ ১৩ খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে।

তিনি আরো জানান, জুলাইয়ের শুরুতে খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি ভ‚মি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হবে। এই বৃহৎ প্রকল্পের সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির বিষয়টি জড়িত। সমন্বয় সভায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসম‚হ আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ৯ এপ্রিল ২০১৮ চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ও সিডিএর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেনাবাহিনীর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করার পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে। এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে তিন বছর। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

গত ০৪ মে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন শীর্ষক মত বিনিময় সভায় মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভীর মাজহার সিদ্দিকী মেগা প্রকল্পের আওতাধীন খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও পাশপাশি খালে ময়লা ফেললে সাজার বিধানও চেয়েছেন।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬ খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২ সিল্ট ট্র্যাপসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

এফএম/এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!