সেই ২৮ অজগর এবার চষে বেড়াবে সীতাকুণ্ডের ইকোপার্ক

হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ৬৭ দিন ধরে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রাখার আলোর মুখ দেখেছিল ২৮ অজগরের বাচ্চা। বাচ্চাগুলোকে ২২ দিন রক্ষণাবেক্ষণ করার পর অবশেষে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গত ২২ জুন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ইনকিউবেটরে জন্ম নেয় এই ২৮টি অজগরের বাচ্চা।

বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে অজগরগুলোকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয় বলে জানান চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন।

এ সময় সীতাকুন্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব (সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম) মো. রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর জনাব শুভ, বন বিভাগের সীতাকুন্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ইকোপার্কের রেঞ্জার মো. আলমগীরসহ সীতাকুন্ড ইকোপার্কের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল আমিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অজগরের ৩১টি ডিম থেকে ২৮টি বাচ্চা ফুটে। আজ (বুধবার) সকালে বাচ্চাগুলোকে ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও ২০১৯ সালে ২৫টি অজগরকে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল।’

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ বলেন, ‘ইকোপার্কের পাহাড়ে অবমুক্ত করা অজগরের বাচ্চাগুলো ২২ দিন বয়সী। বাচ্চাগুলো দুই ফুটের মতো লম্বা হয়েছিল। এর আগে প্রায় ৬৭ দিন ধরে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে রাখা অজগরের ডিম থেকে ২২ জুন এসব বাচ্চা ফুটেছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।’

২০১৯ সালের জুনে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ডিম থেকে অজগরের ২৫টি বাচ্চা ফোটানো হয়। যা পরে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল বাংলাদেশে কোনো চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে সাপের ডিম সংগ্রহ করে বাচ্চা উৎপাদন এর আগে কেউ করেনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!