সুস্থ থাকতে ছুটির দিনে ভুড়িভোজ নয়

ছুটির দিনে সপ্তাহের শুরুতে আমরা অনেকেই অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খেয়ে থাকি। পুরো সপ্তাহ অফিস থেকে শুরু করে নানা কাজে বাইরে থাকতে হয়। আর খাবারও খেতে হয় বাইরে। এতে করে বাড়িতে খাবার খাওয়া হয়ে উঠে না। ফলে যত ইচ্ছে তত খাবার খাওয়া হয়ে উঠে এই ছুটির দিনে। কিন্তু চিকিৎসকদের অনেকেই বলে থাকেন, এমন অতিরিক্ত খাওয়া আমাদের শরীরের কোন উপকারে আসে না। বরং অনেক সময় এতে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই ছুটির দিনে খাবার গ্রহণ করতে পারেন নিয়ম মেনে।

ভালো নাস্তায়

আমরা অনেকেই সাধারণ সকালটা না খেয়ে কাটিয়ে দেই। কিন্তু এতে করে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর তা বিরুপ প্রভাব ফেলে। সুস্থতা ও শারীরিক বৃদ্ধির জন্য ডায়েট তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও ফ্যাট থাকা খুবই জরুরি। তাই সকালটা শুরু হতে পারে এক গ্লাস দুধ দিয়ে। তার একঘণ্টা পর একটি কলা খাওয়া যেতে পারে। তবে বাইরে বেরোবার আগে নাস্তা করাটা বাঞ্ছনীয়। সেক্ষেত্রে দু’পিস টোস্ট ও ডিম খাওয়া যেতে পারে। রুচি বদলাতে হালুয়াও চলতে পারে। বাইরে যাওয়ার আগে ঘরের তৈরি খাবার সঙ্গে নেওয়া ভালো। এতে করে জাঙ্ক ফুড এড়ানো সম্ভব হয়।

দুপুরে হালকা খাবার

দুপুরের খাবার হিসেবে সবজি-রুটিই উপাদেয়। সেক্ষেত্রে দিবা নিদ্রার আশঙ্কাও কমে যায়। শেষ দুপুরে আবারও রুটি বা পাস্তা খেতে পারেন। তবে এমন নয় যে দুপুরে ভাত খেতেই পারবেন না। আর মাছ, মাংস যাই খান সবজির উপস্থিতিটা যেন থাকে। সালাদ থাকলেও মন্দ হয় না। দুপুরের খাবারটা হালকা হলে অনেক সুবিধা। আমরা সাধারণত এই সময়টা কাজে ব্যস্ত থাকি। তাই হালকা খাবার গ্রহণ করলে কাজে কোন অসুবিধা হবে না। উন্নত বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই দুপুরের খাবারের হালকা রীতি চালু রয়েছে।

বিকেলের নাস্তা

বিকেলে এক স্লাইস চিজ খেতে পারেন। আবার একগ্লাস সয়া মিল্কও যোগ হতে পারে আপনার খাবারের তালিকায়। সন্ধ্যায় ঘরে বানানো খাবার খেতে পারেন। ফলমূলও খেতে পারেন। সেইসাথে বিকেলের নাস্তায় যোগ করতে পারেন আপনার বিশেষ পছন্দের কোন খাবার। যেই খাবারটা আপনি সচরাচর খান না, এমন খাবার তৈরি করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার সময়টাও ভালো কাটবে। আর আনন্দও পাবেন।

রাতের খাবার

রাতের খাবারটা আমাদের তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। এটা আমরা সবসময়ই ভুলে যাই। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে সেরে নিতে পারেন ডিনার। রুটির পাশাপাশি ভাতও খেতে পারেন।

সেইসাথে চিনি ছাড়া একগ্লাস লাচ্ছি খেয়ে শুয়ে পড়াই ভালো। শুধু খাদ্যাভ্যাসে রাশ টেনে ধরলেই কি হবে। সেইসাথে তাল মিলিয়ে ব্যায়ামও করতে হবে। বয়ঃসন্ধির সময়েই শরীরের হাড় অর্ধেক গঠিত হয়ে যায়। ব্যায়ামে লিন ওয়েট বাড়বে। লিন ওয়েট এর উপর মেদ ঝরার প্রক্রিয়া নির্ভর করে। তাই পুরো সপ্তাহ নিয়ম মতো খাবার খান। ছুটির দিন নিজের পছন্দের মেন্যু বেছে নিন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!