সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করছে কনটেইনার ডিপোর শ্রমিকরা

কোনরকম সুরক্ষা ছাড়াই অফডকে কাজ করছেন শ্রমিকরা। বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর (অফডক) মাধ্যমে তৈরি পোশাক রপ্তানির কাজ হয়ে থাকে। কিন্তু অফডকে কাজ করার সময় শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভ্স ছাড়াই কাজ করতে দেখা যায় শ্রমিকদের।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় টানা ১০ দিনের ছুটি চলাকালীন চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালনা কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে বলে জানানো হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জরুরি চিকিৎসা ও সেবাসামগ্রী শুল্কায়ন করে খালাস করা যাবে। এ সময়ে রপ্তানি কার্যক্রম সচল থাকবে। বুধবার (২৫ মার্চ) বন্দরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাইলটিং সার্ভিস হিসেবে বন্দরের কাজ ২৪ ঘন্টা ৭ দিন নীতিতে চলবে। এতে কাস্টমসসহ সব সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরকেন্দ্রিক ১৯টি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) বা অফডক তৈরি পোশাকসহ রপ্তানির কাজে ভুমিকা রাখে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অরক্ষিতভাবে কাজ করতে বাধ্য হওয়ায় চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে।

এ বিষয়ে অফডক মালিক সংগঠন বাংলাদেশ ইংল্যান্ড কনটেইনার ডিপো এসোসিয়েশন (বিকডা) সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনার জন্য সরকারি ছুটিতে আমরা শ্রমিক পাচ্ছি না কাজ করানোর জন্য। রাস্তা থেকে ধরে আনা শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে রপ্তানি কাজ সচল রেখেছি আমরা। কিন্তু এখানে অনেক শ্রমিক সচেতন নয়। তাই তারা মাস্ক ও গ্লাভ্স ব্যবহার করছেন না। যদিও আমরা এসব সুরক্ষামুলক সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। সরকারি ছুটির মাঝেও সচল থাকছে বন্দর। এতে আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। অফডক বন্ধ রাখলে আমাদের সুবিধা হতো।’

এর আগে বন্দর পর্ষদের সদস্য মো. জাফর আলম বলেছেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তকে অনুসরণ করেই বন্দরের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বন্দর পর্ষদের একজন করে সদস্য পালাক্রমে অফিস করবেন। কার্যক্রম পরিচালনাকারী পরিবহন, নৌ-বিভাগের মতো কয়েকটি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে থাকবেন, যাতে জাহাজ আগমন ও পণ্য খালাসের মতো কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। কারণ বাংলাদেশে সমুদ্রপথে পণ্যের ৯২ শতাংশ আমদানি-রপ্তানিই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।’

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!