সুরক্ষা অ্যাপে করোনা টিকার নিবন্ধন করতে হবে যেভাবে, শুরু ২৬ জানুয়ারি

বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে। এই টিকা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হবে অনলাইনে। এজন্য ২৬ জানুয়ারি থেকে চালু করা হবে ‘সুরক্ষা’ নামের একটি মোবাইল ও ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ। এটি ব্যবহার করে টিকা নিতে আগ্রহীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। এর ওয়েব ঠিকানা— www.surakkha.gov.bd

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বয়ে এই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।

করোনার টিকা পেতে অনলাইনে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে করোনার টিকা দেওয়া হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে অনলাইন নিবন্ধন সম্পাদন করতে হবে। নিবন্ধন করতে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট সময় লাগতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ‘জনগণ সরাসরি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এ নিয়ে কাজ করা হবে। নিবন্ধনের সঙ্গে এনআইডি নম্বর প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে বিধবা বা বয়স্কভাতা পান এমন তালিকাও সংগ্রহ করে দেখা হবে।

তিনি বলেন, ‘যদি কেউ নিবন্ধন না করে, তাকে টিকা দেওয়া হবে না। কারণ আমরা নিবন্ধন তালিকার বাইরে কাউকেই টিকা দিতে পারব না। টিকা দেওয়ার আগে নিবন্ধন করা জন্য সারাদেশে ব্যাপক প্রচার চালানো হবে। নিরক্ষরদের জন্যও আমাদের ব্যবস্থা থাকবে। তারা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। গ্রাম পর্যায়ে এখন ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চলে গেছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের সহযোগিতা করতে পারবে।’

দেশে আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা বাংলাদেশে আসবে।

টিকার জন্য নতুন নিবন্ধনকারীকে ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে ঢুকে প্রথমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মতারিখ উল্লেখ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর যাচাই করে অ্যাপটি এনআইডি ডাটাবেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বাকি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ করে নেবে।

তবে এ সময় ভ্যাকসিন গ্রহীতাকে আরও কিছু তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন করার সময়েই ভ্যাকসিন গ্রহীতাকে তার ডায়াবেটিস, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যান্য রোগ আছে কিনা সেই তথ্যগুলো জানাতে হবে।

পরবর্তী ধাপে টিকা নেতে ইচ্ছুক নিবন্ধনকারীকে তার বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এ সময় অ্যাপটি থেকে নিবন্ধনকারীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পৌঁছে যাবে। এই ওটিপি দিয়ে অ্যাপটিতে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে গ্রহীতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি ভ্যাকসিন কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই কার্ডেই উল্লেখ থাকবে ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ কবে, কখন ও কোন্ সময়ে দেওয়া হবে।

দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া শেষ হলে গ্রহীতা এই অ্যাপ্লিকেশন থেকেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে মর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র বা সনদ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এছাড়া যদি কখনও বিশ্বের কোনো দূতাবাস বা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কারও ভ্যাকসিন পাওয়াবিষয়ক তথ্য জানতে চায় তবে সেটি ওয়েবপোর্টালের সাহায্যে জেনে নিতে পারবেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!