সুফি মিজানের হাতে খুললো দৃষ্টিহারা সুদীপের ভাগ্য

সুদীপ দাশ। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি তার ছিল অদম্য ইচ্ছা। সেই ইচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে স্বপ্ন দেখেন বিচারক হওয়ার। সেজন্য তিনি কয়েকবার সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষা (বিজেএস) দিতে আবেদন করেছিলেন এবং পরীক্ষার হলেও গেছেন। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রচলিত আইনের কারণে শ্রুতিলেখক না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে হল থেকে বের হতে হয়েছে চরম হতাশা নিয়ে। পরীক্ষায় প্রবেশপত্র পেলেও শ্রুতি লেখক পাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেনি কর্তৃপক্ষ।

এ প্রতিবন্ধীর বিচারক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ না হলেও তার অদম্য মানসিক শক্তি দেখে পিএইচপি ফ্যামিলি পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউআইটিএস) চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান

সম্প্রতি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ আয়োজিত ‘একসেস টু জাস্টিস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় পিএইচপি চেয়ারম্যান সুদীপের দুঃখের কথা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রতিশ্রুতি দেন।

সুফি মিজানের হাতে খুললো দৃষ্টিহারা সুদীপের ভাগ্য 1

তিনি বলেন, আইনের মেধাবী শিক্ষার্থী সুদীপ দাশ সুদীপ্তকে পিএইচপি ফ্যামিলি পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউআইটিএস) আইন বিভাগে তার যোগ্যতা অনুসারে চাকরি দেওয়া হবে।

মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসানের প্রস্তাবনায় পিএইচপি চেয়ারম্যান এ ঘোষণা দেন।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন, মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এবং মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খান।

বিসিএস পরীক্ষায়ও শ্রুতিলেখক পাওয়ার সুযোগ আছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। চাকরি ক্ষেত্রে এমন বৈষম্যের বিষয়টি সুদীপ সেমিনারে তুলে ধরলে পিএইচপি চেয়ারম্যান সুফী মিজানুর রহমান তাকে আইন বিভাগে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

এসএইচ/এএইচ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!