সুইমিংপুল/ অনিয়মের ছবি বানোয়াট, তবে ‘নির্মাণে কিছু ইয়া আছে’
বললেন সিটি মেয়র নাছির
১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রাম সুইমিং কমপ্লেক্স ৬ মাসেই দুরবস্থায় পড়া নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন নির্মাণে অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও দাবি করেছেন, গণমাধ্যমে সুইমিং কমপ্লেক্সের যেসব ছবি এসেছে, সেগুলো বানোয়াট।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরের সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের একটি অনুষ্ঠানশেষে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, ‘অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সুইমিংপুলটা উদ্বোধন করা হলো খুব বেশি সময় হয়নি। কিন্তু এটার এখন জরাজীর্ণ অবস্থা?’
জবাবে সিটি মেয়র বলেন, ‘এখন যারা করেছে ওরা কোথা থেকে করেছে, আর একটা বিষয় ওটা ওই সুইমিংপুলের ছবিও না।’
প্রসঙ্গত, গেল বছরের সেপ্টেম্বরে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের হাত ধরে চট্টগ্রাম নগরের কাজির দেউড়িতে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম সুইমিং কমপ্লেক্স। জনমতকে উপেক্ষা করে খেলার মাঠ গিলে গড়ে ওঠা এই সুইমিং কমপ্লেক্স নিয়ে শুরুতে আশা-প্রত্যাশার ফুলঝুরি ছড়ানো হলেও শুরুতেই অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়েছে সুইমিং কমপ্লেক্সটি। এর মধ্যেই বেরিয়ে এসেছে সুইমিংপুল নির্মাণে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির করুণ চিত্র।
এ বিষয়ে ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘চট্টগ্রামে ১১ কোটির মাঠখেকো সুইমিংপুল এখন গলার কাঁটা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুইমিং কমপ্লেক্সের এমন দুরবস্থা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সুইমিং কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়মের কথা স্বীকার করে আ জ ম নাছির বলেন, ‘এইখানে নির্মাণের মধ্যে কিছু ইয়া আছে সেগুলা। ওগুলা যখন আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এসেছিলেন উদ্বোধনকালীন তখন উনাকে আমি ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছি। তারপরে এনএসির সচিব উনাকেও বলেছি এবং আমরা চিঠিও লিখেছি। যার কারণে ওই দিন আমরা সভাতে মিলিত হয়েছিলাম। আমরা সবাই মিলিত হয়ে ওখানে কিছু সংস্কার করতে হবে যেমন ওখানে কিছু পর্দা দিতে হবে, যখন মহিলারা ওখানে প্রাকটিস করেন, ওনাদের গার্ডিয়ানরা যখন আসে তখন হয়তো বাইর থেকে বা পাশের দালান থেকে হয়তো দেখা যায়। এই ধরনের কিছু কিছু কাজ আছে সেগুলো আমরা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ওই সুইমিংপুল করার আগে কিন্তু অনে..ক বাধা বিপত্তি এসেছিল। এটার অনেকেই সরাসরি বিরোধিতা করেছিল। এখন ধরেন কোন কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করতেসে। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো আপনি যান, ওই পানিগুলা আপনি দেখেন কিভাবে… প্রতিদিনই তো এইখানে প্রাকটিস করছে এবং আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’
আ জ ম নাছির বলেন, ‘এইটা যারা করেছেন তাদের আমি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করবো কেউ এই সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা না নিয়ে, না জেনে। ওই যে বললাম কেউ না কেউ হয়তো এজেন্ডা আছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এইটা করা।’
এএ/সিপি