সীমান্তে আদম বানিজ্য অব্যাহত : আটক ৩৯ দালাল

সীমান্তে আদম বানিজ্য অব্যাহত : আটক ৩৯ দালাল 1গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ : টেকনাফ উপকুল জুড়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ এখনো অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের ঢল চোঁখে পড়ার মত। গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সহিংস ঘটনার পর থেকে নদী ও সাগর অতিক্রম করে প্রানের ভয়ে পালিয়ে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
বর্তমানে এই রোহিঙ্গা সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ পার হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ত্রানসহ বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।।
আর সেই বৈধ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু টাকা লোভী আদম বানিজ্যে লিপ্ত থাকা দালাল চক্রের সদস্যরা হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা ও স্বর্নলংকার। অপরদিকে এই দালাল চক্রের সদস্যদের আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে কঠোর অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে টেকনাফ উপজেলা আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।সেই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ আগস্ট থেকে টেকনাফ বিজিবি,পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের সাঁড়াশী অভিযানে আটক করা হয় প্রায় দুই শত দালালকে তবে এদের মধ্যে বেশীর ভাগ হচ্ছে মিয়ানমার নাগরীক পুরাতন রোহিঙ্গা। আটক হওয়া দালালদেরকে  ভ্রাম্যমান আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরন করে।।
সেই সুত্র ধরে ৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে টেকনাফ ২ বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৩৯ জন  দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়। এদের মধ্যে বেশীর ভাগ মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা।
তাদেরকেও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়েছে। টেকনাফ থানা সুত্রে আরো জানা যায়, ৪ অক্টোবর বুধবার ভোর রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের কক্সবাজার কারাগারে প্রেরন করার জন্য থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটককৃতরা হচ্ছে, মিয়ানমারের মন্ডুর এলাকার মুজিবুর রহমার (২৫), আব্দুর মালেক (৩০), মোঃ রফিক (৪০), মোঃ শাকের (১৯), মোঃ জুবাইর (১৮) মোঃ আয়ুব (২৭), গণি মিয়া (২৫), মোঃ আয়াস (১৭), দিন মোহাম্¥দ(২২), সুলতান আহম্¥দ (৪০), মোঃ আব্দুল্লাহ (৩০), শারুক খান(১৬), আয়াস (১৭), আব্দু রহিম (৬৫), আব্দুল আমিন (২০),মোঃ সালাম (৫০), মোঃ ইলিয়াস (৩০), আবুল হাসেম(৫০), মোঃ ইউনুছ (৩০), আবুল নাসির (৪০), ছৈয়দ আলম (৪০), জাহেদ হোসেন (২৮), দিল মোহাম্ম¥দ (৫০), আনোয়ার খালেদ (১৬), মোঃ বেলার হোসেন (৩০), সামশুল আমিন (৪০), দিলদার আহম্দ(৩০),  সুর আহম্দ(৪২), মোঃ জুবাইর (৩৩), মোস্তাফা কামাল (৩০), হোসন আহম্দ (১৯), জাকির হোসেন (১৬), মোঃ নুর (২০), মোঃ রফিক (১৮)। পুলিশের অভিযানে আটকৃত দালাল হচ্ছে,হাফেজ নুর(২০) নুরুল আমিন(২৫) মোঃ ছিদ্দিক(৩৬) আজিম উল্লাহ(৩৫) মোঃ ইউনুছ(৩৫)
এব্যপারে টেকনাফ উপজেলার সু-শীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন স্থানীয় অর্থলোভী দালাল চক্রের সহযোগীতায় দিনের পর দিন যে ভাবে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের অনুপ্রবেশের ঢল বাড়ছে।
এই ভাবে চলতে থাকলে টেকনাফের স্থানীয় জন-সাধারন বিভিন্ন সমস্যায় জড়িত হবে।
তারা আরো বলেন যত তাড়াতাড়ী সম্বব পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান তৈরী করে তাদেরকে সরিয়ে নিতে হবে।
তানা হলে এই পর্যটন নগরী টেকনাফ উপজেলার সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ বিলিন হতে আর বেশীদিন সময় লাগবে না।।
এদিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের আগমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে রাখাইন রাজ্য থেকে  রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা হচেছ। এমনকি পাচারকারী চক্র অর্থের লোভে ওপারে নৌকা বা ট্রলার পাঠিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার জন্য। এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়ে। গত ৩ সেপ্টেম্বমর মঙ্গলবার  গভীর রাত থেকে জেলা পুলিশের টিম,টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা দালাল চক্রের সদস্যদেকে ধরার জন্য  বিশেষ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!