সীতাকুন্ডের বাজারে আসছে আগাম শীতকালীন সবজি : সবজি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ১লক্ষ ৫০হাজার মেট্রিক টন

শেখ সালাউদ্দীন, চট্টগ্রাম(সীতাকুন্ড)প্রতিনিধি :::

দেশের সবজি উৎপাদনের অন্যতম উপজেলা সীতাকুন্ডের হাট বাজারে বিভিন্ন অঞ্চলগুলো থেকে শীতকালীন আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে। সবজির ভাল দামের আশায় উপজেলার কৃষক পরিবারগুলো এবছর মৌসুম ছাড়াই চাষ করেন তারা।

vajitebol-pic-2

তবে গত বছর এমন সময়ে সবজি হাট বাজারগুলোতে তেমন সবজি দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীতাকুন্ড পৌরসদরের মোহন্তের হাটে সবজি কিনতে আসা মোঃ জমির আলী।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা থেকে বিভিন্ন গাড়ি করে প্রচুর পরিমান শীতকালীন আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে। তবে আগাম নতুন সবজি হওয়ায় প্রতিটি সবজির দাম একটু বেশি হলেও নতুন সবজি হাতে পেয়ে খুশি এ ক্রেতা। এছাড়া এ অঞ্চলে অন্যান্য দিন গুলোতে সবজির চাষ হলেও মৌসুমে শীতকালীন সময়ে সবজি চাষ ও উৎপাদন হয় সব চেয়ে বেশি।

চাষীরা উপকূলীয় অঞ্চলও পাহাড়ী অঞ্চল গুলোতে মাটিও জীবনের সাথে যুদ্ধ করে তারা ক্ষেতে ফসল ফলায়। চাষীদের এ সব অধিক উৎপাদিত শাক সবজি ও এই অঞ্চলের সবজি চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শহর গুলোতে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত পাইকাররা।

কষ্ট করলে যে মিষ্টি পাওয়া যায় তারই এক মাত্র দৃষ্টান্ত এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া চাষীরা। উপজেলার বড় দারোগারহাট থেকে শুরু করে ফৌজদারহাট পর্যন্ত এখন মাঠের পর মাঠ আগাম শীতকালীন সবজি আর সবজি।

vajitebol-pic-1

উপজেলার যে দিকে দু’চোখ যায় সেদিকে যেন শুধু সবজির লাল সবুজের সমারহ। এ সব সবজির মধ্যে রয়েছে শিম, টমেটো,ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, লাল সাক, পালং সাক, মুলা সহ আরো অন্যান্য সবজি শীতকালীন সময়ে উৎপাদন হয়ে থাকে।

সরেজমিনে সবজির হাট বাজার ও চাষীদের ক্ষেত গুলোতে ঘুরে দেখা যায় চাষীরা ব্যাপক উৎসাহে তারা আগত পাইকারদের কাছে তাদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার ধুম পড়েছে। এমনি এক ব্যাপারী চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে আসা মোঃ আলী জানান, এখন শীতকালীন সবজি চাষের উপযুক্ত সময় তাই প্রতিটি মৌসুমে সবজি ক্রয় করতে অবস্থা বোঝে সীতাকুন্ডের বিভিন্ন বাজরে সবজি কিনতে ছুটে আসেন। এ অঞ্চল থেকে সবজি ক্রয় করলে একটু বেশি লাভ হয় বলে তিনি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারসহ চাষীদের জমি গুলোতে ছুটে আসেন।

অপর দিকে সীতাকুন্ড পৌরসভাস্থ দর্ক্ষীন মহাদেবপুর মৌলবীপাড়া’র চাষী মোঃ হেলাল জানান ভাল দামের আশায় চলতি মৌসুমে ৭৮ শতক জমিতে আগাম শীতকালীন লাল শাক ও মুলার চাষ করেছেন। এতে মোট খরচ পরবে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকার মত। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তার উৎপাদিত সবজি পাইকারীতে প্রায় সব খরচ বাদ দিয়ে ৯০ হাজারেরও বেশি টাকায় সবজি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

তিনি বলেন ভাল লাভের আশায় আমরা আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করেছি। মজার ব্যাপার হল মাত্র ১৮দিনের মাথায় লালশাক বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। এটা কিন্তু চাষীদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এভাবে একাধীক চাষী জানালেন এবছর আগাম শীতকালনি সবজি বিক্রিকরে ভাল দাম পাচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে সীতাকুন্ড উপজেলা কৃষি অফিসার সুশান্ত সাহা বলেন চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৩ শত ৩৪ হেক্টর জমিতে ১৮২৫০ জন চাষী বিভিন্ন রকম সবজির চাষ করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সবজি চাষ হয়েছে সৈয়দপুর,বারৈয়াঢালা মুরাদপুর,বাাঁশবাড়ীয়া ও পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কম বেশি শীতকালীন আগাম সবজি চাষ হয়েছে। তিনি বলেন চলতি মৌসুমে সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে দেড় লক্ষ মেট্রিকটন।

কৃষি বিভাগের ব্লক পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন সবজি উৎপাদনে পরামর্শ দিয়ে চলেছেন।

এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!