সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগের ‘টাকার কমিটি’ তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ

দুই সদস্যের কমিটিকে রিপোর্ট দিতে হবে সাত দিনের মধ্যে

অবশেষে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ‘অধিকতর তদন্তের’ জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এই কমিটিকে।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

কেন্দ্রঘোষিত তদন্ত কমিটির দুই সদস্য হলেন নাহিদ হাসান শাহীন ও হায়দার মোহাম্মদ জিতু। তাদের পদপদবির বিষয়ে বিবৃতিতে কিছু উল্লেখ না থাকলেও জানা গেছে, নাহিদ হাসান শাহীন কেন্দ্রীয় কমিটির মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং হায়দার মোহাম্মদ জিতু প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড উপজেলার কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের কল রেকর্ডসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে চট্টগ্রাম প্রতিদিন। সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হলে তিনদিন আগে অভিযোগ তদন্তের দাবি করে একটি যৌথ বিবৃতি দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

কমিটি গঠনে আর্থিক লেনদেনের মূল অভিযোগ জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে হলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দেওয়া বিবৃতিতে ‘সীতাকুণ্ড উপজেলা শাখার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের অধিকতর তদন্ত’ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে কি মূল অভিযুক্তদের বিষয় পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে— চট্টগ্রাম প্রতিদিনের এমন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘যেহেতু উপজেলা কমিটিকে ঘিরেই লেনদেনের অভিযোগ, সেহেতু উপজেলা কমিটির কথাই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এর সাথে যারাই জড়িত তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। জেলা ছাত্রলীগের নেতারা জড়িত হলে তারাও শাস্তি পাবেন।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!