সীতাকুণ্ডে মেয়রের আসন পাকা করে নিলেন বদিউল আলম

মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৬ জন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম। এর আগে ২০১৫ সালেও নৌকার টিকেট নিয়ে প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে দলটি। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বদিউল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘গত মেয়াদে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক উন্নয়ন কাজ করেছি আমি। অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো এগিয়ে নিতে এবারও মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দল ও আমাদের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

১৯৯৮ সালে সীতাকুণ্ড পৌরসভা গঠনের পর থেকেই ২২ বছর ধরে সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে আরও ১৫ জন প্রার্থীকে মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে। তাদের সবাইকে যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা কর্মী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের মোট ১৬ জন মনোনয়ন চেয়েছেন। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে। তারা সবাই নিবেদিতপ্রাণ সবাই যোগ্য। দল যেহেতু আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে, সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য কাজ করবো আমি।’

পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সীতাকুণ্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, সৌন্দর্য বর্ধন ও সুপেয় পানি সরবরাহের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চান বলে এ সময় জানান বদিউল আলম।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টেন্ডার ছাড়াই কাজ দেখিয়ে চার প্রকল্পের ৬২ লাখ টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল সীতাকুণ্ড পৌরসভা মেয়র বদিউল আলমসহ দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত সারাদেশে প্রথম ধাপে সীতাকুণ্ডসহ ২৫টি পৌরসভায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!