সীতাকুণ্ডে পাহাড়ে পুড়ল ৫০ একর ফল বাগান

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে আগুনে সংরক্ষিত বনের অন্তত ৫০ একর পাহাড়ি বনাঞ্চল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। তবে সিগারেটের আগুন থেকে অথবা কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়ে দিতে পারে ধারনা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে শংকর মঠের পাশের পাহাড়ি এলাকায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। বাগান মালিক, স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছয় ঘণ্টারও অধিক সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে তার আগেই ২০ জন কৃষকের বাগানের গাছপালা সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্তরা কৃষকরা জানান, তাদের বাগানে পেয়ারা, বিলাতি গাব, আম ও আমলকিসহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে। আগুনে এসব গাছের কচি ফল পুড়ে যায়। গাছে থাকা আম, গাবসহ সব ধরনের ফল ঝরে যায়। বৃষ্টি হলেই পেয়ারা ও আমলকি গাছে মুকুল আসার কথা রয়েছে। আগুনে এসব গাছেরও বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। ফলে বৃষ্টি হলেও এসব গাছ পুনরায় বেঁচে উঠবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ। বেঁচে উঠলেও এই সিজনে এসব গাছ থেকে ফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

কৃষক সেকান্দর, হারুন, রফিক, গুরা মিয়াসহ কয়েকজন জানান, পাহাড়ের এই বাগান তাদের একমাত্র আয়ের উৎস। প্রতিটা বাগান থেকে বৎসরে গড়ে পাঁচ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেন তারা। আগুনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

অন্যদিকে, সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক এলাকাধীন পাহাড়ে গত এক মাসে কয়েকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এইসব অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ একর বনভূমি পুড়ে যায় বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলেও পাহাড়ি পথ ও পানির অপ্রতুলতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় বলে জানান সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানতে সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক এর দায়িত্বরত বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীরের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!