সীতাকুণ্ডে ধরা ময়মনসিংহের সেই ক্ষিপ্ত প্রেমিক, ১৩ দিনের মাথায় নববধূর তালাক

ময়মনসিংহ থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসে র‌্যাব-১৪ এর একটি টিম ধরে নিয়ে গেল কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রাতে র‌্যাব-১৪ এর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এর আগে বুধবার মধ্যরাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার কাদিরপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বকুল মিয়াকে।

র‌্যাব-১৪ এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধর্ষণের ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে র‌্যাব-১৪ আভিযানিক তদন্ত শুরু করে। পরে র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি বকুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র ও ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে বকুল মিয়ার (৩০) সঙ্গে। একটা সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন বকুল।

এর মধ্যেই ওই কিশোরীর বিয়ের কথা চলে একই গ্রামের খাইরুল ইসলামের সঙ্গে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রেমিক বকুল মিয়া। গ্রামে বিভিন্ন অপবাদ ছড়াতে থাকেন। এরপরও খাইরুলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় ওই কিশোরীর।

এ অবস্থায় কিশোরী শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার ১৩ দিন পর স্থানীয় বাজারে কিশোরীর বরের দেখা পায় বকুল মিয়া। একপর্যায়ে বর খাইরুলকে লোকচক্ষুর আড়ালে ডেকে নিয়ে বকুল মিয়া জানায়, তার (খাইরুল) স্ত্রীকে সে ধর্ষণ করেছে। এর একাধিক প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এ ঘটনার পর সংসার ভাঙার উপক্রম হলে উভয় পক্ষই এক সালিসের আয়োজন করে।

পরে স্থানীয় সালিসে বকুল অকপটে জানিয়ে দেন, ওই কিশোরীর শরীরে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যের বিভিন্ন স্থানে নানা ধরনের চিহ্নের কথা। পরে সালিসের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে কয়েকজন নারীর হস্তক্ষেপে কিশোরীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে যাচাইকালে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে সালিস থেকেই তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। বিয়ের ১৩ দিন পর নববধূকে তালাক দেন বর খাইরুল। লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওই কিশোরী।

এ ঘটনার পর গত ১৬ অক্টোবর ওই কিশোরী বাদি হয়ে প্রেমিক বকুল মিয়াকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!